এমএসএমই শিল্পের বিকাশে পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা: কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্প এবং মাঝারি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
রোববার (২৯ নভেম্বর, ২০২০) ডিসিসিআই কর্তৃক আয়োজিত ‘শিল্পনীতির সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা’শীর্ষক ওয়েবিনারে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এমপি ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, গত তিনদশকে বাংলাদেশের শিল্পখাত প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও তা ছিল মূলত রপ্তানিমুখী তৈরি পোষাক খাত নির্ভর, তবে শিল্পখাতের বহুমুখীকরণে চামড়া, পাট, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাহাজ নির্মাণ, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রভৃতি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা একান্ত আবশ্যক বলে, তিনি মত প্রকাশ করেন। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রয়োজনীয় গবেষণা ও বিনিয়োগের অভাবে দেশের উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকতে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তিনি শিল্পনীতিতে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির বিকাশের লক্ষ্যে আরো বেশি প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের লক্ষ্যে শুল্ক ও নীতি সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেন।
শামস মাহমুদ বলেন, শিল্পনীতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের একটি সার্বিক গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা থাকা প্রয়োজন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য একটি নীতিমালা এবং মাঝারি শিল্পের জন্য পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেন, যাতে কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাবৃন্দ নীতিমালায় বর্ণিত সুবিধাসমূহ সহজে গ্রহণ করতে পারে।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, এমপি বলেন, অর্থনীতির শিল্পখাতের অধিকাংশ উদ্যোক্তাগণই কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত, এদের উন্নয়ন করা গেলেই দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বিনিয়োগ বাড়বে এবং সচল হবে দেশের অর্থনীতি। মন্ত্রী জানান, সরকারি প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে ২০ হাজার কোটি টাকা সিএমএসই খাতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মঞ্জুরকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৭০ কোটি টাকা যা এখাতে ঘোষিত মোট প্রণোদনার ৩৫.৩৫% যেখানে তৈরি পোশাক ছাড়া প্রায় সব শিল্প খাতে প্রণোদনা বণ্টনে ব্যাংকগুলো পিছিয়ে রয়েছে। সরকারের ঘোষিত নীতিগত ও আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে যেন কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ বঞ্চিত না হন, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। শিল্পমন্ত্রী জানান, সিএমএসএমইতে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বৃহত্তর শিল্পের ব্যকওয়ার্ড লিঙ্কেজকে বলিষ্ঠকরণ, কর্মসংস্থান সহায়ক প্রবৃদ্ধি এবং গ্রামীণ ও শহুরে বসবাসকরীদের মাঝে বৈষম্য হ্রাস করার লক্ষ্যে আসন্ন শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের আলোচনার ভিত্তিত্তে যে শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে, তা ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং ব্যবসা পরিচালনার সূচকসহ অন্যান্য সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও উন্নত করবে, যা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণে সক্রিয় ভ‚মিকা রাখবে। দেশের শিল্প-কারখানায় দেশীয় দক্ষ লোকবল যেন কমর্সংস্থানের সুযোগ পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, করোনো মহামারীর কারণে বাংলাদেশসহ সারা বিশে^র অর্থনৈতিক গতিধারায় একটি মন্থরভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং এ অবস্থা উত্তরণে একটি টেকসই ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, এটির যথাযথ বস্তবায়ন করা আবশ্যক। তিনি মনে করেন, বর্তমান সময়ে বেঁচে থাকাই সবচেয়ে বড়া চাওয়া বলে, তবে আভ্যন্তরীন চাহিদা কিভাবে চাঙ্গা রাখা যায় সেটার দিকে নজর দেওয়ার আহŸান জানান। আতিউর রহমান বলেন, রপ্তানিমুখী পণ্যের বহুমুখীকরণ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির বিষয়টি এখন বেশ প্রকট হয়েছে এবং এ অবস্থা উত্তরণে বিশেষকরে কৃষি খাত ও এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বলেন, এসএমইদের সংজ্ঞায়নে বেশ সমস্যা রয়েছে, যা নিরসন করা একান্ত আবশ্যক। তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে ছোট এবং মাঝারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা অঞ্চল স্থাপন করার প্রস্তাব করেন। ড. আতিউর রহমান প্রণোদনার টাকা ফেরত দেওয়ার সময়সীমা অন্তত ২বছর বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানান এবং বিশেষকরে এসএমইদের জন্য প্রণোদনার প্যাকেজে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। এছাড়াও প্রণোদনা প্যাকেজ বিতরণে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন কাজ করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের উপর জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, ইতমধ্যে, বাংলাদেশ এলসি ড্যাশ বোর্ডে ন্যায় প্রণোদনা প্যাকেজ হতে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইটে একটি ড্যাশ বোর্ড তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যেটা বাস্তবায়িত হলে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম আরো সফল হবে। তিনি ই-কমার্স ও এফ-কমার্স-এর সাথে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তাদের জন্য নীতিমালা সহজীকরণের মাধ্যমে প্রণোদনা সহযোগিতা প্রদানের আহŸান জানান।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ বলেন, দক্ষ মানব সম্পদের জন্য শিক্ষা ও শিল্প ব্যবস্থার সমন্বয় বাড়াতে হবে এবং শিল্পখাতের জন্য কি ধরনের দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজন, তা নিরূপন করে দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি শিল্পখাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য দক্ষতা ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজন, বলে মত প্রকাশ করেন। গ্রামীণ অর্থনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য প্রণোদনার প্যাকেজ সকলের নিকট পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিতকরনে তিনি সকরের প্রতি আহ্বান জানান এবং এলক্ষ্যে সকল সংস্থার সমন্বয় বাড়ানোর উপর জোরারোপ করেন। খলীকুজ্জামান বলেন, শিল্পনীতিতে টেকসই উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি কোন শিল্পখাতকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেটা চিহ্নিত করার প্রস্তাব করেন। শিল্পের মালিক ও শ্রমিকদের সম্পর্ক উন্নয়নে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা শিল্পনীতিতে থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, আমাদের অর্থনীতিতে এসএমইখাতের অবদানপ প্রায় ২৫% যেখানে প্রতিবেশী ভারতে এর পরিমাণ প্রায় ৬০% এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসএমই খাতের উন্নয়নে সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি জানান, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বিশেষতঃ বৃহৎ শিল্প-কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রতিনিয়ত কমছে, এক্ষেত্রে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের এসএমই খাতের উপর আরো বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি জানান, ‘এসএমই উদ্যোক্তাদের সংজ্ঞা’নির্ধারণে ফাউন্ডেশনটি অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় করছে, যা পরবর্তীতে শিল্পনীতিতে বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রেরণ করা হবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রপ্তানিমুখী সকল শিল্পের জন্য শুল্ক, আর্থিক প্রণোদনা সহ অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিদ্যমান নীতিমালায় যে বৈষম্য রয়েছে তা নিরসনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান। নারী উদ্যোক্তারা যেন বিশেষকরে ব্যাংক ঋণ সহায়তা পেতে পারে, সেলক্ষ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহেক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আসার উপর জোরারোপ করেন।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ড. মোঃ আবু ইউসুফ।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, গত একদশকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়ন হলেও কাঙ্খিত বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, করোনা মহামারী মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ার ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুঁড়ে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা যেন প্যাকেজ-এর সুবিধা পেতে পারেন তা নিয়ে সকলকে ভাবতে হবে। শিল্পনীতির বাস্তবায়ন পর্যালোচনার জন্য একটি এক্যাশন প্ল্যান থাকা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। আবু ইউসুফ বলে, শিল্পখাতের প্রয়োজনের নিরিখে এখনও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা যায়নি, যার ফলে অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশ কাজ করছে এবং দেশীয় অর্থ রেমিট্যান্স আকারে অন্যদেশে চলে যাচ্ছে। তিনি এসএমই উদ্যোক্তাদের একটি ডাটাবেইজ তৈরির জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন, যা নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রণোদনা প্যাকেজ বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষন দীর্ঘমেয়াদী নীতি সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব করেন এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশের লক্যে সকল খাতকে সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংক-এর এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হোসনে আরা শিখা, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ ফর লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)-এর চেয়ারপার্সন ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আবুল কাসেম খান এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসান, এনডিসি ওয়েবিনারে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে যোগদান করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক-এর এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হোসনে আরা শিখা বলেন, চলতি মূলধন ক্যাটাগরীতে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রদান করেছে এবং করোনা মেকাবেলায় বেশকিছু নীতি সহায়তা প্রদান করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী একবছরের মধ্যে প্রণোদনার প্যাকেজের প্রায় ৭৫% উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, ই-কমার্স ও এফ-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের অনেকেরই ট্রেড লাইসেন্স নেই, যার ফলে তাদের ঋণ সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না, এমতাবস্থায় এখাতের উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স ব্যাতিরেখে ঋণ সহায়তা প্রদান করা যায় কিনা সেবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের মহামারী মোকবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক-এর একটি ‘ক্রাসিস মিটআপ ফান্ড’গঠনের প্রস্তাব করেন।
বিল্ড-এর চেয়ারপার্সন ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি আবুল কাসেম খান মনে করেন, শিল্পনীতিতে সকল খাতকে সুনির্দিষ্টভাবে গুরুত্ব প্রদান ও সংজ্ঞায়ন করা প্রয়োজন পাশাপাশি শিল্পনীতি প্রণয়নে একটি সুনিদিষ্ট ডাটা বেইজ প্রণয়ন করা হয় বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি শিল্পখাতের বিকাশের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী একটি সহায়ক রাজস্ব নীতি প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। আবুল কাসেম খান বলেন, চতুর্থ শিল্পবের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য শিল্পনীতিতে তার একটি প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন এবং এলক্ষ্যে একটি ইন্সটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিল্ড চেয়ারপার্সন বলেন, শিল্পের কাঁচামালের জন্য আমরা অন্যান্য দেশের নির্ভর করে থাকি, তবে এ অবস্থা উত্তরণে কাঁচামাল তৈরিতে স্বনির্ভরতা অর্জন করার আহ্বান জানান, যা বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে লজেস্টিক সুবিধা নিশ্চিতকরনের প্রস্তাব করেন এবং সকল ধরনের নীতিমালা বাস্তবায়নে সরকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় বাড়ানোর জোরারোপ করেন।
বিসিক-এর চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসান, এনডিসি বলেন, বর্তমানে বিসিক-এর ২ হাজার একর জমিতে ৭৬টি শিল্প পার্ক রয়েছে, যেখানে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার লোক কাজ করেন। তিনি জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ হাজার একর জমিতে বিসিক ১০০টি শিল্প পার্ক স্থাপন করবে, যেখানে ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএ, এফসিএস ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
(এসএএম/২৯ নভেম্বর ২০২০)