বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাজেটে ঐতিহাসিক ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প মার্কিন সামরিক সংস্থা, পেন্টাগনের বাজেট ৫ হাজার চার’শ কোটি ডলার বাড়াতে চাইছেন, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, অন্য বেশ কিছু খাত থেকে অর্থ ছাঁটাই করে সামরিক খাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। যেসব খাত থেকে বাজেট ছাঁটাই করে সামরিক খাতে দেয়া হবে তার মধ্যে বৈদেশিক সাহায্য এবং পরিবেশ রক্ষাও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার এই পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে কথা বলেছেন এবং আগামী মে মাসে তার পূর্ণ পরিকল্পনা কংগ্রেসের সামনে তুলে ধরবেন।
হোয়াইট হাউজে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নরদের সাথে এক বৈঠকে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, সামরিক খাতে এই বর্ধিত বাজেটটির মাধ্যমে তিনি পুরো বিশ্বকে একটি বার্তা দিতে চান।
বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের চাইতে সামরিক খাতে অনেক বেশি ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্র। বছরে প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলার।
ট্রাম্প বলেন, ‘এই বাজেট হবে জননিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার বাজেট। এই দুটো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব থাকবে, তবে আরও অনেক বিষয়ও থাকবে। সামরিক বাজেটে ঐতিহাসিক বৃদ্ধি ঘটবে যার মাধ্যমে আমাদের নিঃশেষিত হতে থাকা সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হবে। এটি একটি মাইলফলক এবং বিপজ্জনক এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি, নিরাপত্তা এবং সংকল্প সম্পর্কে পৃথিবীর কাছে একটি বার্তা।’
তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি অব্যাহত রেখে সামরিক ব্যয় বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কংগ্রেসে কোন্দলের কারণে সামরিক ব্যয় কমেছে।
তবে হঠাৎ করেই সেনাদের ট্যাংক বা এয়ারক্রাফটের জন্য বাজেট বরাদ্দ কংগ্রেস অনুমোদন করাটাও অস্বাভাবিক নয়। যদিও পেন্টাগন এর আগেও বলেছে যে, তাদের এসবের প্রয়োজনই নেই।
(এসএএম/ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)