মনজুরুল আলম: শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সব সময় বেশি লাভ করার একটা প্রবণতা থাকে। যদিও তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন রাতারাতি বড়লোক হওয়ার জন্য, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ইতিহাস বলছে শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এই সাধারন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির সম্মুখীন থেকে বাঁচানোর জন্য আমার এই ছোট্ট প্রয়াস।
১। বিনিয়োগ কৌশল:
দীর্ঘদিন বাজারে থাকার কারণে আমি দেখেছি বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী হুজুকে কান দেয় অমুক ভাই তমুক ভাই বলছে শেয়ার কিনতে, দাম বাড়বে এবং আশ্চর্যজনক ভাবে সত্যি হচ্ছে দাম বাড়ে কিন্তু তারা বিক্রির সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে না পারার কারণে আবার দাম কমে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যেহেতু অমুক ভাই বিক্রি করতে বলে নাই তাই বিক্রি করে নাই এবং তার মধ্যে থাকে অতিরিক্ত লাভের একটা আশা যা তাকে ক্ষতির সম্মুখীন করে। এই বাজারে বিনিয়োগকারীরা এত বেশি ঠকেছেন যে এখন তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা এখন অনেক বেশি জানে এবং অনেক বেশি বুঝে।
আমি আমার বিনিয়োগকারীদের এবং ট্রেডারদের সহজ কিছু কৌশল দিয়ে দিচ্ছি, যা বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদেরকে সহযোগিতা করবে। এই কৌশলগুলো সহজে বোধগম্য এবং সার্বজনীন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা জটিল কৌশল গুলো বুঝে না তাই তাদেরকে এইসব ধারণা দিয়ে লাভ নাই। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বলছি বেশি বুঝার দরকার নাই শুধুমাত্র নিচের ধাপগুলো অনুসরন করেন দেখবেন শেয়ার মার্কেটে ভালো করছেন।
♦ আমরা প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই দেখতে পাই প্রতিদিনকার শেয়ারের একটা মূল্য তালিকা দেয়া থাকে। সাথে Net Asset Value (NAV) এবং Earning Per Share (EPS) দেয়া থাকে। আমাদের খুব বেশি না বুঝলেও চলবে আমরা শুধু দেখবো ঐদিনের শেয়ারের দাম থেকে কোন শেয়ার গুলোর নেট অ্যাসেট ভ্যালু বেশি সেগুলো বের করে একটা তালিকা বানাবো। উদ্দেশ্য হলো ওই শেয়ার গুলোর দাম কোম্পানির নীট সম্পত্তির দাম থেকে কম আছে। কোম্পানি এই মুহূর্তে বন্ধ হয়ে গেল আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। যে দামে শেয়ার কিনেছেন তার চেয়েও বেশি ফেরত পাবেন তার মানে আপনি মোটামুটি বিপদমুক্ত।
♦ এবার আপনি যে তালিকা বানিয়েছেন নেট আসেট ভেলু থেকে কারেন্ট প্রাইস কম দিয়ে সেই তালিকা থেকে যেসব কোম্পানির ইপিএস ভালো সেগুলো বের করে একটা তালিকা করেন, দেখবেন আপনি মোটামুটি 10 থেকে 15 টা শেয়ারের একটা তালিকা পেয়ে গেছেন। Earning Per Share (EPS) বলতে বুঝানো হচ্ছে ওই কোম্পানির শেয়ারের প্রতি ইনকাম এখন ভালো তাহলে বুঝুন আপনি নিজে নিজেই কনফিডেন্স পেয়ে যাচ্ছেন। শেয়ার কেনার ব্যাপারে নিজের কনফিডেন্স বাড়ান। নিজের কনফিডেন্স বাড়লেই দেখবেন আপনি লুজার হবেন না।
♦ মোটামুটি একটা তালিকা নিজেই করে ফেললেন এখন দেখবেন ওই শেয়ার গুলোর মধ্যে কোন কোম্পানিগুলোর শেয়ার ভাল ট্রেড হয়, অর্থাৎ লিকুড়িটেশান বেশি। শেয়ার কিনলেই হবে না শেয়ার বিক্রিও করতে পারতে হবে তাছাড়া ওই শেয়ার গুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকতে হবে।
যারা সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের বলব এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করে বিনিয়োগ করেন দেখবেন নিরাশ হবেন না। আপনাদের মুনাফা আসবেই ব্যাপারটা শুধু সময়ের। আমি শুধু এটুকু বলব আপনার বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত আপনি নিজেই নেন অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না তাতে আপনি লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
২। বিনিয়োগ কৌশল:
আমরা যারা সারাক্ষণ ট্রেড স্ক্রিন নিয়ে বসে থাকি তাদের প্রায় বলতে শুনি তারা প্রফিট করতে পারছেন না। বিশেষ করে ট্রেডার ভাই-বোনেরা যারা শেয়ার মার্কেট কে প্রফেশন হিসেবে নিয়েছেন ডেইলি কিছু ইনকাম করবেন বলে কিন্তু দিনশেষে নেটিং করতে গিয়ে লস দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন, তাদের জন্য সামান্য কিছু কৌশল যদি ফলো করেন হয়তো লুজার হবেন না।
প্রথমত ট্রেডারদের টেকনিক্যাল এনালাইসিস জানতে হবে যারা জানেন না তারা শিখে নিন যদি না জানেন এই মার্কেট আপনার জন্য না টেকনিক্যাল এনালাইসিস আবার পন্ডিত হবার প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র কয়েকটা ট্রাম জানলেই হবে ।
১। ক্যান্ডেলস্টিক সম্পর্কে জানুন কোন ক্যান্ডেলস্টিক দিয়া কি বুঝায় সেটা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করুন।
২। RSI বা Relative Strength Index সম্পকে জানুন।যদি দেখেন কোন শেয়ার এর দাম RSI 30 এর নিচে তাহলে চোখ বন্ধ করে Invest করুন আর যদি দেখেন RSI 70 এর উপরে তাহলে চোখ বন্ধ করে শেয়ার সেল করে দেন।
৩। MACD (Moving Average Convergence Divergence) যদি bearish Trend এর দিকে যেতে থাকে তাহলে সেল করে দেবেন আর যদি Bullish Trend এর দিকে যেতে থাকে তাহলে ইনভেস্ট করবেন।
ক্যান্ডেলস্টিক এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী দিন এর Trade নির্ভর করে অতএব ক্যান্ডেলস্টিক এর ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে ডিসিশন নেন কি করবেন? Technical Analysis এর উপর ভিত্তি করে ডেইলি ট্রেডার রা প্রতিদিন রিক্স নিয়ে দেখতে পারেন অবশ্যই সেটা Bullish মার্কেটে হতে হবে। দেখবেন আপনি Profit করতে পারছেন। কোনভাবেই Bearish মার্কেটে টেকনিক্যাল এনালাইসিস এপ্লাই করতে যাবেন না, ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যারা ট্রেডার তাদেরকে বলব Technical Analysis ভালো ভাবে শিখে নিন আশা করি এই মার্কেটে আপনি ভালো করবেন। সেই সাথে নিজের মধ্যে কনফিডেন্স বেড়ে যাবে যা আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
৩। বিনিয়োগ কৌশল:
যারা পোর্টফোলিও ম্যানেজার বা ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরস তারা প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকেন প্রতিবছর নির্দিষ্ট % profit করতে না পারলে তাদের জব হারানোর একটা ভয় থাকে। তাদেরকে বলব আপনি পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসেবে বেশি রিক্স নিতে যাবেন না কারণ বেশি প্রফিট করলে ওই বছর হয়তো আপনাকে বাহবা দিবে কিন্তু পরের বছর আপনি লস করলে ওইটা ভুলে যাবে। আপনাদের ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে কনজারভেটিভ পদ্দতিতে।
১। আপনি প্রথমত যত IPO আছে সবগুলোতে এপ্লাই করবেন এবং Institutional quota তে যত শেয়ার পাবেন নেক্সট 5 years সেল করবেন না। শেয়ারমাকেট যেখানে যাবে যাক। এই শেয়ার আপনাকে আনরিয়ালাইজড লস এর হাত থেকে বাঁচাবে আপনাকে Provision এর হাত থেকে বাঁচাবে। প্রতিবছর জন্য যে পরিমাণ প্রভিশন রাখতে হয় তা আর রাখতে হবে না।
২। মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করবেন যাদের Dividend Yield ভাল। যদি দেখেন মিউচুয়াল ফান্ডের দাম ৫ টাকা আর ডিভিডেন্ড দেয় ১০% তাহলে তার রিটান ২০%। তার মানে চোখ বন্ধ করে ওই শেয়ারে আপনি ইনভেস্ট করতে পারেন। এই রিটান আপনা্র প্রফিট কে ধরে রাখবে ম্যানেজমেন্ট ও খুশি থাকবে।
৩। এইবার কিছু্ টাকা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ইনভেস্ট করবেন শুধুমাত্র আপনার Portfolio কে রিচ বানানোর জন্য যদি কোন কারণে Capital gain হয়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই।
সর্বোপরি যে সমস্ত কোম্পানি ভালো Dividend দেয়, কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল ভালো সেই সমস্ত শেয়ারে ইনভেস্ট করুন দেখবেন আপনি Profit পাচ্ছেন নিয়মিতভাবেই। বেশি লাভের আশায় আপনার ইনভেস্টমেন্ট কে Risk এর মধ্যে ফেলবেন না এতে করে আপনি বিপদে পড়বেন।
একজন ভালো Portfolio ম্যানেজার দেখে শুনে বুঝে Risk নিবে এটাই স্বাভাবিক।
উপরোক্ত বিনিয়োগ সিদ্ধান্তগুলো বা বিনিয়োগ কৌশলগুলো নেয়া খুব সহজ না। প্রতিদিন টাকা বানানোর শর্টকাট ফর্মুলা আপনার কাছে আসতে থাকবে আপনি সেগুলো বাদ দিয়ে এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে গেলে আপনাকে অনেক বেশি ষ্ট্রং হতে হবে। আপনার লোভ সংবরণ করতে হবে। আপনার চারপাশের লোকজন যখন লোভে পড়বে তখন আপনাকে তাকিয়ে থাকতে হবে, আপনার তাতে কিচ্ছু যায় আসে না আপনাকে আপনার রাস্তায় অবিচল থাকতে হবে তাহলে আসবে সাফল্য।
কিভাবে বিনিয়োগ করবেনঃ
শেয়ার ব্যবসা করতে চাইলে একজন ব্যক্তিকে কী জানতে হবে এবং কীভাবে ব্যবসা শুরু করতে হবে তার একটি প্রাথমিক ধারণা আপনাদের জন্য তুলে ধরা হলো-
*প্রথমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। যে কোন সিকিউরিটিজ এ একক বা যৌথ একাউন্ট খোলা যায়।
* বয়স ১৮ বছর হতে হয়
* নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হয়
বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো-
* জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,
* নিজের ২কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,
* নমিনির ১কপি ছবি,
* ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট,
* জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও উল্লিখিত কাগজ ও ছবি জমা দিতে হবে।
* বিও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য মাত্র ৫০০ টাকা চার্জ দিতে হয়।
শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে:
শুরুতে শেয়ার বেচা-কেনার ক্ষেত্রে যেসকল বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হয়-
* প্রথমে দেখতে হবে কোম্পনিটির মৌলভিত্তি কেমন অথবা কোম্পানি টি কোন ক্যাটারগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানি গুলোর জন্য ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে।
ক্যাটাগরিগুলোহলো- A, B, N ও Z
ক্যাটাগরি A: যে সকল কোম্পানি প্রত্যেক বছর নিয়মিত ভাবে এজিএম করে ও ১০% বা ১০% এর বেশি লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।
ক্যাটাগরি B: যেসকল কোম্পানি প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে এজিএম করে ও ১০% এর কম লভ্যাংশ দিয়ে থাকে।
ক্যাটাগরি Z: যে সব কোম্পানি ঐই বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়না, কোম্পানীকে Z ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কোম্পানীর শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজ গুলো মার্জিন একাউন্টের বিপরীতে কোন লোন সুবিধা প্রদান করেনা।এই কোম্পানীর শেয়ার গুলো ক্রয়ের ৯কার্য দিবস পর বিক্রি করতে হয়।
ক্যাটাগরি N: বাজারের অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন কোম্পানি গুলোর এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন কোম্পানিগুলো N ক্যাটাগরিতেঅবস্থানকরে।
কোম্পানির ইপিএস (আর্নিং পার শেয়ার):
প্রত্যেক কোম্পানি বছরে ৪টি কোয়ার্টারে ইপিএস দিয়ে থাকে। ইপিএস হলো শেয়ার প্রতি আয়। কোনো কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ লাভ করে সেই লভ্যাংশ কে মার্কেটের মোট শেয়ার দিয়ে ভাগ করে দিলে যা আসে তাই হলো ইপিএস।
শেয়ারের পিই (প্রফিটআর্নিরেশিও): যে কোম্পানির পিই যত বেশি সে কোম্পানি তত বেশি অতি মূল্যায়িত। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের কোম্পানি গুলোর পিই ২৫ এর বেশি হলে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।
দেশের শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে গেলে আপনি দুইভাবে করতে পারেন।
এক প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে এবং দুই সেকেন্ডারি শেয়ারের মাধ্যমে।
প্রাইমারি শেয়ারঃ
বাজারে কোনো কোম্পানি প্রথমে প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে।অর্থাৎ নতুন কোনো কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে। শোনা যায় সবাই বলে প্রাইমারি শেয়ারে কোন লস নাই। সেকেন্ডারি শেয়ারে প্রচুর রিস্ক।
সেকেন্ডারি শেয়ারঃ
প্রাইমারি শেয়ার যখন কেউ বিক্রি করে দেয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিণত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে হলে আপনার শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ, আপনাকে ব্যবসা করার জন্য ফান্ডামেন্টাল প্লাস টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ধারণা অর্জন করতে পারলে শেয়ার ব্যবসায় আপনি ভালো লাভ করতে পারবেন। আর আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করেন এবং একে পেশা বা বাড়তি ইনকামের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে সেকেন্ডারি মার্কেট খুবই উত্তম জায়গা।
তবে কেউ যদি মনে করেন শেয়ার ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি ধনী হয়ে যাবেন তাদের এ ব্যবসায় আসা উচিত নয়। কারণ, প্রতি ব্যবসাতেই লাভলস থাকে এবং পরিশ্রমের দরকার হয়। তাই যথেষ্ট মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে ধীরে ধীরে আপনি শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো প্রফিট করতে পারবেন এ আশ্বাস আমরা দিতে পারি।
লেনদেন:
সরকারি ছুটি ছাড়া রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০টা থেকে বেলা ২.৩০টা পর্যন্ত লেনদেন হয়ে থাকে।
লেখক:
মনজুরুল আলম
চীফ অপারেটিং অফিসার
এন সি সি বি সিকিউরিটিজ এন্ড ফিনান্সিয়াল সারভিসেস লিমিটেড।