শামীম-আল-মাসুদ, হেড অব নিউজ, বিনিয়োগবার্তা: দেশের শেয়ারবাজারে ভাল পারফরমেন্স করা কোম্পানিগুলোকে সম্মাননা দিতে চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ এসোসিয়েশন (ডিবিএ)। একইসঙ্গে লেনদেন ও কর্পারেট-সামাজিক দায়বদ্ধতায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা ব্রোকারেজ হাউজগুলোকেও সম্মাননা দেবে সংগঠনটি। এছাড়াও দেশের শেয়ারবাজারের পরিধি আরও বড় করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। সম্প্রতি বিনিয়োগবার্তার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা জানয়েছেন ডিবিএ সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শামীম-আল-মাসুদ। আর ছবি তুলেছেন বিনিয়োগবার্তার ফটো সাংবাদিক মঞ্জুরুল রেজা। পাঠকদের উদ্দেশে এ সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
বিনিয়োগবার্তা: বাজারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বলুন।
আহমেদ রশিদ লালী: দেশের পুঁজিবাজার বাজার এখন ঠিক ধারায়ই রয়েছে। বাজারকে স্থিতিশীল ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিএসইসি, ডিএসই এবং সিএসইর সংস্কার ও নানা পদক্ষেপ খুবই ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে। এ কারনে দেশিয় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাদের সকলেরই এখন আস্থা বেড়েছে। বাজার এখন যথেষ্ট ম্যাচিউরড। কারণ, আগে যেমন দুই’শ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়লে বাড়লে একসঙ্গে সবই বেড়েছে, আবার আড়াইশ কমলে প্রায় সবই কমে গেছে, সেখান থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। এখন আর সেই প্রবণতা নাই। বিনিয়োগকারীরা এখন যথেষ্ট সচেতন। তারা বুঝে শুনেই বিনিয়োগ করছেন। এই চর্চা ধরে রাখতে হবে। তাহলে বাজার কখনোই ফল্ট করবে না।
বিনিয়োগবার্তা: সূচক ও লেনদেন কত পর্যন্ত হলে আপনারা বাজারকে স্ট্যাবল বলবেন?
আহমেদ রশিদ লালী: দেখুন, মার্কেন এখন স্ট্যাবল আছে বলে আমি মনে করি। সূচক কমা অথবা বাড়ার মধ্যে থাকাটাই বাজারের ধরণ। এটি আসলে কত পর্যন্ত উঠবে তা বলা মুসকিল। তবে ক্রয় বিক্রয়ের চাপ যত বাড়বে ততই সূচক উঠা- নামা করবে। তবে সূচক যেন বড় রকমের কোন ফল্ট না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আর লেনদেনের বিষয়টিতে আমি বলবো যে, এই বাজার এখন কমপক্ষে ১৫০০ কোটি টাকা ভলিউমের বাজার। এর চেয়ে কম লেনদেন হলে কোন পক্ষই বাজারের প্রতি আকৃষ্ট হবে না। আর সূচকও ৫ হাজারের ওপরে থাকতে হবে। তবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো সম্প্রতি গড়ে সূচক ও লেনদেন এই মাত্রার অতিক্রম করেছে। এই ধারাও ধরে রাখতে হবে।
বিনিয়োগবার্তা: সরকারি, বৃহৎ ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনতে আপনাদের পদক্ষেপ কি?
আহমেদ রশিদ লালী: আমরা সম্প্রতি একটি উদ্যোগ নিয়েছি। সেটি হলো আমরা মার্কেটিং জোড়দার করবো। আমরা চেষ্ঠা করছি দেশিয় ব্লুচিপ বা ভাল কোম্পানিগুলো বাজারে কিভাবে আনা যায়। দেশের বা বিদেশের বাজারে এসব কোম্পানির কার্যক্রম মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির চেয়েও ভাল। তাই বাজারে আসলে তারা যেসব সুযোগ সুবিধা পাবেন এসব বিষয়গুলো তাদেরকে অবগত করাতে চাই। তাদেও পক্ষ থেকে বাজাওে আসতে কি ধরনের সমস্যা রয়েছে তাও আমরা শুনতে চাই। আর এসব পদক্ষেপের পরে আমরা আবারো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবো এবং তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সরকারকে সুপারিশ করবো। আর কিছুটা ছাড় দেওয়া বা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিনিময়েও যদি তারা বাজারে আসে তাহলে এ বাজার অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
একইভাবে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে শুধু আমরিই নই, বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষই তাদের তালিকাভূক্তি চাচ্ছেন। এ বিষয়ে সরকারের ভেতর থেকেও বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে। কিন্তু আসলে কাজ হচ্ছে না। আসলে এসব কোম্পানিগুলোর শেয়ারের একটি অংশ সরকার ধারণ করে। যতদূর জানি, সরকার যখনই বলে যে, আমরা এসব শেয়ার বাজারে ছাড়তে চাই; তখনই তারা বলে যে, এসব শেয়ার বাজারে না ছেড়ে তাদেরকে দিয়ে দিতে। নানা সমস্যা দেখিয়ে তারা এই আপত্তি জানায়। আর তাদের আপত্তি রক্ষা করতে যেয়েই মূলত শেয়ারবাজারে আনা যাচ্ছে না। আমরা তাদেরকে এটি বুঝাতে চাই যে, লিস্টেড হওয়ার পরে তারা কি ধরনের সুবিধাগুলো পাবে।
এছাড়া সরাসরি বাজারে আসতে কিংবা দেশের বিনিয়োগকারীদেও অংশগ্রহনের সুযোগ দিতে তাদেরকে আমরা বুঝাব।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভূক্তি নিয়েও একই অবস্থা। সম্প্রতি আমরা এ বিষয়ে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। বৈঠকের প্রেক্ষিতে খুব দ্রুতই এসব বিষয়ে ফল পাওয়া যাবে বলে তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। একইসঙ্গে সরকারি ২৬ কোম্পানির শেয়ার খুব শিগগীরই অফলোড করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি মনে করি, মাননীয় অর্থমন্ত্রী নিজে যদি বিষয়গুলো ভালভাবে মনিটরিং করেন তাহলে অবশ্যই আমরা এর ফল পাবো।
বিনিয়োগবার্তা: আইপিও সম্পর্কে বলুন।
আহমেদ রশিদ লালী: আমরা কিন্তু গত বছরটিকে অর্থাৎ ২০১৬ সালটিকেই বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে বলেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় বছরের প্রথম দিকেই বাজার ঘুরতে শুরু করেছে। আর গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাজারের গতি বেড়েছে। শেষ দিকে এসে আমাদের কথার কিছুটা মিল পেয়েছি। বাজারের সূচক লেনদেন বেড়েছে। বর্তমানে বাজার একটি সুন্দর জায়গায় অবস্থান করেছে। এ ধারাবাহিকতা থাকলে ২০১৭ সালও বাজারের জন্য ইতিবাচক থাকবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের ব্যপ্তি বা গভীরতা বাড়াতে ভাল আইপিও আনার কোনো বিকল্প নাই। আমরা কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আমরা এসব কথা বলে আসছি। ভাল কোম্পানি বাজাওে আনতে তারা কিছু আইনেরও সংশোধন করেছে। এর ফলে দেশের দুই পুঁজিবাজার (ডিএসই ও সিএসই) আইপিওতে মতামত দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এরফলে নতুন কোম্পানি সম্পর্কে আরও গভীর এনালাইসিস করা যাবে। ফলে ভাল আইপিও আসবে। এছাড়া কমিশনের সম্মানিত চেয়ারম্যানের কাছে আমরা দাবি করেছিলাম বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে যেন একটি আইপিও থেকে আরেকটি আইপিওর ক্ষেত্রে অন্তত কয়েকদিন গ্যাপ রাখা হয়। তারা যেন এক কোম্পানিতে আবেদনের টাকা হাতে পেয়ে অন্যটিতে আবেদন করতে পারেন। তিনিও আমাদের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তিনি কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখাকে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিয়েছেন যেন এই বিষয়টি ফলো করা হয়। তিনি এও বলেছেন যে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
বিনিয়োগবার্তা: বন্ড মার্কেট সম্পর্কে বলুন। এটিকে কিভাবে আরও জনপ্রিয় করা যায়?
আহমেদ রশিদ লালী: দেখুন, আমাদের মার্কেট হচ্ছে ‘ই্যকুয়িটি বেজড মার্কেট’। আমরা চাচ্ছি এরসঙ্গে যেন একটি ‘ডেপথ মার্কেট’ও থাকে। আর ডেপথ মার্কেটের প্রেডাক্ট হচ্ছে ডেরিভেটিভস ও বন্ড মার্কেট। তো এই মার্কেটগুলোর জন্য আলাদা গাইড লাইন করার জন্য বিএসইসি চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি এ বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের মধ্যেই এটি কমপ্লিট হবে। আর ২০১৮ সালে আমরা এর সুফল পাবো।
তিনি বলেন, ইক্যুয়িটি বেজড মার্কেটকে যখন কোনো বিনিয়োগকারী ঝুঁকিপূর্ণ মনে করবে, তখনই সে একঅন থেকে মূলধন ফিরিয়ে নিতে চাইবেন। আর সেজন্যই তাকে বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। আর সে সুযোগ কাজে লাগাতেই ওই বিনিয়োগকারী বন্ড বা ডেরিভেটিভ মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন, যা তার জন্য নিরাপদ মনে হবে। আমাদের বাজার এখনো ফ্রন্টিয়ার মার্কেট। এখান থেকে আমাদের ইমারজিন মার্কেটে যেতে হবে। তবে আমরা ইমারজিন মার্কেটের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। খুব শিগগীরই আমরা এ বাজারে প্রবেশ করতে পারবো। ইতোমধ্যে বিএসইসিও ‘আইএসকো’র এ ক্যাটাগরির সদস্য পদ পেয়ে গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জও ওয়াল্ড ফেডারেশন অব এক্সচেঞ্জের সদস্য পদ পেয়ে গেছে। সবমিলিয়ে আমরা খুব শিগগীরই আরও মানসম্পন্ন বাজার হিসাবে আত্নপ্রকাশ করতে পারেবো।
বিনিয়োগবার্তা: আন্তর্জাতিক মানের বাজার হতে আমাদের আর কি বাকি রয়েছে?
আহমেদ রশিদ লালী: আমাদের বাজার আন্তর্জাতিক মানদন্ডে পৌঁছানোর জন্য আইন কানূনের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের টেকনোলজিও আন্তর্জাতিক মানদন্ডের হয়েছে। আমরা স্ট্রাটেজিক পার্টনার খুঁজছি। এ বছরের মধ্যে এটিও সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদি ডিএসই স্ট্যাটিজিক পার্টনার পেয়ে যায়, আর তারা আমাদের বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে পৌছানো আর বাকি থাকবে না। তখন আমাদের পরিচালনা পর্ষদ আরও নতুন আইডিয়া পাবে, ডিএসইর বোর্ড আরও সমৃদ্ধ হবে।
বিনিয়োগবার্তা: ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড বোর্ড হওয়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা কি সুফল পেয়েছে?
আহমেদ রশিদ লালী: পুঁজিবাজারে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড বোর্ড হওয়ার ফলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের কাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ন হতে পেরেছি। আগে যেমন অভিযোগ ছিল বোর্ডের সদস্য বাজার পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করে, সেটি এখন আর নাই। এরফলে এখন পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে। আর এই ধারনাটি আমাদের এখানে নতুন হওয়ায় এর সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগছে। বর্তমান বোর্ড ২০১৬ সালের মধ্যে স্ট্রাটেজিক পার্টনার নিতে চেয়েছিল। যদিও এখনো তারা তা পারেনি। আমি বলছি, সিদ্ধান্তহীনতায় থাকলে হবে না, সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে। কাজ করতে গেলে সফলতা ব্যর্থতা দুটোই থাকবে। এ নিয়ে ভাবলে চলবে না। কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। নতুন একটি ধারনাকে বাস্তবে রূপ দিতে একটু সময়তো লাগতেই পারে। তবে খুব শিগগীরই বিনি
য়োগকারীরা এসবের সুফল দেখতে পারবেন।
বিনিয়োগবার্তা: ডিবিএকে আপনি কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন?
আহমেদ রশিদ লালী: ডিবিএকে আমরা একটি সেলফ রেগুলটেরি বডি হিসাবে তৈরী করতে চাচ্ছি। বাজারের ব্রোকার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়। এসব অসুবিধাগুলো দূর করতে এ সংগঠন ভূমিকা রাখবে। বিএসইসিও এই সংগঠনের বিষয়ে খুবই আশাবাদী। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও চাচ্ছে যেন নিজেদের বিষয়গুলোতে আমরা যেন সতকর্তা বা সচেতনতা অবলম্বন করতে পারি। বিভিন্নি বিষয়ে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বিএসইসি ও ডিএসইর কাছে জমা দেওয়া হবে। এছাড়া দেশব্যাপি বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম জোড়দার করতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা ব্রোকাদেরকেও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবো; যেন তারা সচেতনভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এছাড়া ব্রোকার বা কোম্পানিগুলো বছরজুড়ে অনেক ভাল কাজ করে থাকে, যেগুলোর কোনো স্বীকৃতি নেই। আামাদের সবচেয়ে বড় কাজ হবে আমরা ব্রোকার বা কোম্পানিগুলোর এসব কাজের আলোকে শীর্ষ ২০টি ব্রোকার বা কোম্পানিকে আমরা সম্মাননা দেবো। এরফলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ব্রোকারদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে। এরফলে তারা আরও বেশি কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় আসবে। এতে আপামোর জনসাধারণসহ পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন বলে আমি মনে করি।
বিনিয়োগবার্তা: পুঁজিবাজারের সমস্যা বা সম্ভাবনা নিয়ে সকল পক্ষের সমন্বয়ে এক বা একাধিক গোলটেবিল বৈঠক করা যেতে পারে কি?
আহমেদ রশিদ লালী: দেখুন, পুঁজিবাজারের সমস্যা নিয়ে সকল পক্ষের একসঙ্গে হওয়াটা একটি বিশাল ব্যাপার। এখানে সকল পক্ষ বলতে সরকার, বড় ও বৃহৎ কোম্পানি, বহুজাতিক কোম্পানি, দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি, ট্রেড বডিসহ সকলকেই বুঝায়। আর এ বিশাল কাজটি করতে হলে আমাদের অবশ্যই বড় বড় ব্যবসায়ি সংগঠনগুলোর সহায়তা লাগবে। ইতোমধ্যে আমরা এ বিষয়ে দেশের ব্যবসায়িদের বড় সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি আমাদেরকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেছেন। আমরা তার পরামর্শের আলোকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবে একটু সময় লাগবে। আর এটি বাস্তাবায়ন করতে পারলে দেশের পুঁজিবাজারের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
বিনিয়োগবার্তা: বিনিয়োগকারীদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
আহমেদ রশিদ লালী: পুঁজিবাজারে এখন অনেক বিনিয়োগকারী আসছে। অর্থনীতির সকল প্যারামিটারসও বর্তমানে ইতিবাচক। শুধু রেমিট্যান্স ছাড়া আর সব অর্থনৈতিক সূচকই পজেটিভ। ব্যাংকে বিপুল পরিমান অলস টাকা পড়ে আছে। ব্যাংকের সুদহার কমে আসছে। মানুষের টাকা রাখার জায়গা নাই। অন্যদিকে পুঁজিবাজারের অনেক কোম্পানিই ভাল মাপের মুনাফা দেয়, যার পরিমান ব্যাংকের সুদের হারও চেয়ে অনেক বেশি। তাই মানুষ অবশ্যই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। তবে সেটি অবশ্যই হতে হবে, নিজ বরণ-পোষনের টাকা হাতে রাখার পর। আর এটি হতে হবে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে। অন্যের বুদ্ধিতে বা হুজুগে কোন সময় শেয়ারবাজারে আসবেন না। আর স্বল্পমেয়াদে বিনিয়োগ করতেও বাজার আসা উচিত নয়। এখানে বিনিয়োগ করবেন দীর্ঘমেয়াদী। তা হলেই লাভবান হবেন।
(রনক/রেজা/শামীম/ ০১ মার্চ ২০১৭)