বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য এই খাতে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব পেশ করেন তিনি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরের জন্য এই খাতের বরাদ্দ ২ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এবারের বাজেটে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। একইসঙ্গে এই খাতের অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা।
আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদকে বলেন, আইসিটি শিক্ষার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সারাদেশের ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক এবং ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লসরুম’ স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ২০টি বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ইতোমধ্যে ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ সরকারি অফিস একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। বিদ্যমান সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি ৪৪ জিবিপিএস হতে বাড়িয়ে ২০০ জিবিপিএসে উন্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ৩১ লাখ এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
আবুল মাল অব্দুল মুহিত বলেন, সম্ভাবনাময় এ খাত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪০ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখবে। এ খাতে প্রয়োজনীয় শুল্ক কর প্রণোদনা এবং নীতি সহায়তা প্রদানের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাডের স্থানীয় সংযোজন ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করেছি।
(এমআইআর/ ০১ জুন ২০১৭)