নিজস্ব প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা: আন্ডার রাইটার (Under Writer) মানে নিশ্চয়তা দেওয়া। প্রশ্ন আসবে কিসের নিশ্চয়তা? উত্তর হলো- আইপিও বিনিয়োগকারীদের নিশ্চয়তা।
বিএসইসির আইপিও দিকনির্দেশনা অনুসারে মোট আইপিও এর ৫০ শতাংশ Under Writer করাতে হবে। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ আইপিও’র জন্য যে আবেদন করেছেন তা যদি কোন কারনে শতভাগের কম হয় তাহলে যতটুকু কম আবেদন হয়েছে, সে শেয়ারগুলোর টাকা আন্ডার রাইটারগন নিজেরা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন। আর যদি ১০০% হয় তাহলে তাদের আর কোন দ্বায় থাকবে না।
আন্ডার রাইট করার জন্য তাহারা আইপিও ইস্যুয়ার থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন। ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, এনবিএফআই, ব্রোকার, ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক যাদের আন্ডার রাইটিং লাইসেন্স হোল্ডিং তারা আন্ডার রাইট করতে পারেন। সাধারণত বাজারে মন্দা ভাব থাকলে বা ইস্যুয়ার এর উপর সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা না থাকলে আন্ডার রাইটারদের দায়ভার বহন করার সম্ভাবনা থাকে।
আন্ডার সাবস্ক্রাইব আইপিও শেয়ার আন্ডার রাইটারের হাত ধরে বাজারে আসলে অভিহিত মূল্যের কম দামে বিক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রধান কারণ আন্ডার রাইটারগন বাধ্য হয়ে যে শেয়ার ক্রয় করেছেন তাহারা সেগুলো পেয়েছেন ফেস ভেল্যুর থেকেও কম মূল্যে। ফেস ভেল্যু থেকে আন্ডার রাইটারদের কমিশন বাদ দিয়ে তাদেরকে শেয়ার দেওয়া হয়। অনেক সময় আন্ডার রাইটারদের কেউ টাকার প্রয়োজন কম দামে শেয়ার বিক্রয় করে। আন্ডার সাবস্ক্রাইব হওয়া শেয়ার প্রথম বাজারে আসলে দেখে শুনে ক্রয় করা ভাল।
কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের পুঁজিবাজারে বিগত কয়েক বৎসর যাবৎ আইপিও কয়েক গুন ওভার সাবস্ক্রাইব হয় সে ক্ষেত্রে ৫০% আন্ডার রাইট করার নিয়ম অব্যাহত রাখার যুক্তি কতটুকু? আন্ডার রাইটিং সাময়িকভাবে তুলে দিলে বা কমিয়ে দিলে ইস্যুয়ারের ইস্যু খরচ কম পড়বে। পক্ষান্তরে কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হবেন। খারাপ কোম্পানির ক্ষেত্রে ইস্যুয়ারগন বিনিয়োগকারীদেরকে নিজের স্বার্থে ক্রয় করার জন্য প্রভাবিত করতে পারেন। এভাবে খারাপ কোম্পানির শেয়ারও ওভার সাবস্ক্রাইব হতে দেখা যায়।
তবে আন্ডার রাইটিং উঠিয়ে দেওয়া বা কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিএসইসি ভেবে দেখতে পারে।
(ডিএফই/এসএএম/২৮ জুন, ২০২১)