বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “এখন সময় হচ্ছে পরিমান থেকে গুনগত মান, ভলিয়ূম থেকে ভ্যালু’তে ঘুরে দাঁড়ানোর”।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের টেকনিক্যাল এ্যাপারেল এর মতো মূল্য সংযোজনকারী (ভ্যালু এডেড) ও উচ্চ মানের (হাই-এন্ড) পোশাকের দিকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কারণ, বিশ্ববাজারে এ ধরনের পোশাকের জন্য উচ্চ চাহিদা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ওয়েষ্টিন হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইউথ লিডারস এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনায় তিনি বলেন, বৈশ্বিক বাজারে মানবসৃষ্ট ফাইবার (এমএমএফ) ভিত্তিক পোশাকের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে এবং বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের উচিত এই সুযোগ গ্রহন করা।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ইউরোপিয় দেশগুলো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরায় খুলে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের কাছ থেকে অর্ডার আসা একটি ভালো লক্ষণ এবং এটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রভাব কাটিয়ে শিল্পের পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।
ফারুক হাসান বলেন, “বিশ্ব বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে ব্যবসাকে টেকসই করতে বাংলাদেশের লক্ষ্য হওয়া উচিত, টেক্সটাইল উপাদানে বৈচিত্র্য আনয়ন বিশেষ করে কটন থেকে নন-কটন পণ্যের উৎপাদনে যাওয়ার মাধ্যমে উচ্চ প্রবৃদ্ধির রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করা।”
তিনি বিদেশী বিনিয়োগকারীগনকে বাংলাদেশের নন-কটন টেক্সটাইলখাতে বিনিয়োগের আহবান জানান, যেহেতু মানবসৃষ্ট ফাইবার (এমএমএফ) ভিত্তিক পোশাকের জন্য স্থানীয় বাজারে কৃত্রিম ফাইবার ও অন্যান্য কাঁচামালের চাহিদা সৃষ্টি হবে।
আলোচনায় বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারন সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, বিজিএপিএমইএ এর সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী অংশগ্রহন করেন।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//