মনজুরুল আলম: দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলেরই চাওয়া বাইব্যাক নীতি চালু হোক। দীর্ঘদিন ধরে বাইব্যাক নীতি চালু করতে কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। বিএসইসি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আরও অনেক আগেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু কেন এটি চালু হচ্ছে না -তা বোধগম্য নয়!
সম্প্রতি বাইব্যাক নীতি নিয়ে বিএসইসির সম্মানিত চেয়ারম্যান সাহেবের কাছ থেকে আমরা একটি ঘোষণা পেয়েছি। তিনি বলেছেন, অচিরেই বাইব্যাক পদ্ধতি চালু করা হবে।
বাজার পর্যারোচনায় দেখা গেছে, যেসব কোম্পানি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে (ফেস ভেল্যু) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তারা এখান থেকে হয়তো শুধু টাকা তুলে নেওয়ার জন্যই আসে। বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ বা ২০ টাকা দরে শেয়ার ছেড়ে টাকাটা তুলে নিয়ে যায়। তাদের যেন আর কোন দায় দায়িত্ব থাকেনা। বাইব্যাক নীতিটি চালু হলে তখন তাদের মধ্যে দায়িত্ব চলে আসবে। যখনই শেয়ারটি ফেসভেল্যুর নিচে আসবে তখনই তারা শেয়ারটি বাইব্যাক করতে বাধ্য হবে। তখন বিনিয়োগকারীরা এতটাই নিরাপত্তায় থাকবে যে শেয়ারটি অন্তত ফেস ভ্যালুর নিচে আসবে না। আর তখন কোম্পানি যদি খারাপ করে তাহলে তাকে ফেস ভ্যালু দিয়ে শেয়ারটি কিনে নিতে হবে তখন তারা ব্যবসায় লাভ করার বিষয়ে অনেক বেশি কাজ করবে। কারন, যদি কোনো কারনে শেয়ার ফেস ভ্যালুর নিচে চলে আসে তাহলে তাকে ফেস ভ্যালুর দামে শেয়ারটি কিনে নিতে হবে। এতে কোম্পানিগুলো অনেক বেশি সতর্ক থাকবে এবং দায়িত্ববান হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজ করবে।
এছাড়া বাইব্যাক নীতিটি থাকলে তখন ২% বা ৩০% শেয়ার ধারণের বিষয়টি সহজেই হয়ে যাবে। যদি বাইব্যাক নীতি চালু হয় তাহলে বিষয়টি এ বাজারের জন্য অনেক যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
লেখক: চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও), এনসিসিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড।