বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ যোগ্যতা অনুপাতে পার্থক্য বিস্তর। সেকেন্ডারি মার্কেটে কোম্পানিগুলোকে তাদের পারফরমেন্স অনুযায়ি বিভিন্ন শ্রেনীতে ভাগ করা হয়ে থাকে। আর এসব শ্রেনীগুলোকে ক্যাটাগরি বলা হয়। আমাদের পুঁজিবাজারে চারটি ক্যাটাগরিতে কোম্পানিগুলোকে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো-এ, বি, এন ও জেড ক্যাটাগরি। বিনিয়োগের জন্য ভালো, কম ভালো এবং ভালো নয়-বোঝানোর জন্য ক্যাটাগরিগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানি:
এ-শ্রেণীর কোম্পানিগুলি বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে এবং কোম্পানিগুলিশেষ ইংরেজি ক্যালেন্ডার বছরে ১০ শতাংশ বা তার বেশি হারে ডিভিডেন্ড ঘোষনা করে থাকে।
‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিঃ
বি-শ্রেণির কোম্পানিগুলি বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করে কিন্তু কোম্পানিগুলি শেষ ইংরেজি ক্যালেন্ডার বছরে ১০ শতাংশ বা তার বেশি হারে ডিভিডেন্ড ঘোষনা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানি:
পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি এই শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত এবং তাদের প্রথম ডিভিডেন্ড ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য বিভাগে স্থানান্তরিত হয়।
‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানি:
যেসব কোম্পানী বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন বা বার্ষিক কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ব্যবসয়িক কার্যক্রম বন্ধ বা যাদের পুঞ্জীভূত ঋতি পরিশোধিত মূলধন অতিক্রম করে, ঐসব কোম্পানিগুলি এই শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//