Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Wednesday, 05 Jan 2022 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

ড: মিহির কুমার রায়: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রমাগতভাবে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে ক্ষমতায আসিন রয়েছেন এবং তার উন্নয়ন ভাবনায় শিক্ষা/ শিক্ষার্থী/ নলেজ ভিত্তিক সমাজ সর্বদাই প্রাধান্য পেয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিফলন দেখা যায় শিক্ষা কার্যক্রমে, আলোকিত মানুষ সৃষ্ঠিতে, যা এরই মধ্যে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। স্বাধীনতার স্থপতি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার তনয়া  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই ধারন করেন শিক্ষায় বিনিয়োগ সকল বিনিয়োগের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং তাদের ভাষ্য বই কিনে কেহই দেউলিয়া হয় না, বই জ্ঞানের প্রতিক, বই আনন্দের প্রতিক ও বই ভালবাসার প্রতিক। তাই বই বিতরনের ও উপহার দেয়ার রেওয়াজ চিরন্তন।এরই অংশ হিসাবে বছরের শুরুতে নতুন শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌছানো  কেবল আনন্দেরই নয়, মানবিকতারও প্রতীক বটে। এতে শিক্ষার্থী যেমন লাভবান হয় একি ভাবে মুদ্রণ শিল্পও উজ্জিবীত হয় আগামী দিনের আশায়। বর্তমান জনকল্যাণমুখী সরকার শিক্ষাকে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বলেই বছরের প্রথম দিনই বই উৎসবের মাধ্যমে সারাদেশের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে।

বিগত ৩০ই ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি এ নতুন বছরের জন্য নতুন পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দেন। নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন বই উৎসব করার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর তা হয়ে উঠে নি। তবে বছরের প্রথমদিন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে এবার ১৩ দিনব্যাপী চলছে এই কার্যক্রম এবং সেই হিসাবে ১৩ জানুয়ারি নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শেষ বই বিতরণ করা হবে। নতুন বছর মানেই শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন শ্রেণীর নতুন বই হাতে পাওয়া ও পড়ার আনন্দ লাভের সুযোগ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য থেকে সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ ছিল দীর্ঘকাল, অবশ্যই সরকারের দূরদর্শিতায় অনলাইন শিক্ষাদান প্রক্রিয়া চলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন শিক্ষার্থীরা যে ঘরে বসে অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অবশ্যই। এ বছর বই বিতরণ উদ্বোধনীতে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সরকার এক লাখ শিক্ষক এবং কর্মকর্তাকে পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং দুই লাখ শিক্ষককে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য অনেক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় সমস্যায় পড়তে হয়, যা অনেক সময় সকলের অগোচরেই থেকে যায়। শুধু পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা নয়, ‘আউট বই’ তথা সিলেবাসের বাইরের বইও পড়তে হবে। একইসঙ্গে পারিবারিক - সামাজিকভাবেও দেশ কাল ও পরিবেশ সম্পর্কে নানা উপায়ে শিক্ষাদানের অপরিহার্যতা সরকার  এড়িয়ে যেতে পারে না। সময় এসেছে সেদিকেও দৃষ্টি দেয়ার।

নতুন বছরের ক্লাস ও পাঠ পরিকল্পনা ৩০ই ডিসেম্বর প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। উভয় স্তরই প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আগের মতো আংশিক শ্রেণি কার্যক্রম চালাবে। তবে পঞ্চম, দশম এবং এসএসসি-দাখিল পরীক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে। তাদেরকে সপ্তাহের প্রতি কর্মদিবসই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে। সরকার এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫ কোটি বই মুদ্রণ করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৭৪টি আর মাধ্যমিকে ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৬টি বই আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৩১শে ডিসেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত প্রাথমিকে ৯ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ২৩২ এবং মাধ্যমিকে ২১ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ৫৫৫টি বই সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। এই কর্মকর্তারা জানান, মোট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ৩০টির মধ্যে ৩১ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৭টি বই পৌঁছে গেছে। বই গ্রহণ করে সফটওয়্যারে যে তথ্য মাঠের শিক্ষা কর্মকর্তারা আপলোড করেন সেই তথ্য এটা। এবারে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তকক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় প্রণীত পাঠ্যপুস্তক রয়েছে এবং এ বিতরণ কার্যক্রম ১২ দিনের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ভিড় এড়াতে একেক দিন একেক শ্রেণীর বই বিতরণ করা হবে।

এছাড়া, মাধ্যমিক ও ইবতেদায়ি স্তরের ৩৫ লাখ ৪ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থীকে সরবরাহ করা হবে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৯২টি বই। একই শিক্ষাবর্ষে দাখিল স্তরের ২৭ লাখ ১২ হাজার ২ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে বই দেবে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৩টি। তবে বিনামূল্যে সরবরাহের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি বই বিতরণ হবে মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজী ভার্সন) স্তরে। এই ধাপের ১ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৭টি বই। এছাড়া, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কারিগরি স্তরে ২ লাখ ৭ হাজার ৬৮ জন শিক্ষার্থীকে ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৮টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। একইভাবে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল স্তরে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৩ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে ৩৩ লাখ ১৫ হাজার ১৯২টি বই। এছাড়া ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক ৮ হাজার ৫৪টি দেয়া হবে ৯৬৩ জন শিক্ষার্থীকে। এতে করে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মোট ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে মোট বই বিতরণ করা হবে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ২৭৭ টি। এর আগে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে একইভাবে মোট ৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি বই। ফলে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের চাইতে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বইয়ের চাহিদা বেড়েছে ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৫টি  যাকে  ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাঙ্গামাটিতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর ২৮ হাজার ৭৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তাদের মাতৃভাষায় ৬৪ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বলছে চলতি বছর প্রাথমিক পর্যায়ে রাঙ্গামাটিতে ৮৫ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৪৬ জন শিক্ষার্থীকে ৬৪ হাজার ৩০৫টি নিজস্ব মাতৃভাষায় বই বিতরণ শুরু হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলছে, চলতি বছর জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ লাখ ৯০ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে। প্রথম দিনে মাধ্যমিকে বই পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হবে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছে তাদের হাতে প্রাপ্ত বই  জেলার দুর্গম এলাকা পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বছরের প্রথম দিনেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলছে, চাহিদা অনুসারে বই আসছে,  এরই মধ্যে সেসব বই  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিশুদের জন্য মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে ২০১৮ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণী ও ২০১৯ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী ও ২০২০ সালে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রাথমিকের বই আগেই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ও বাকিগুলো জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে চলে যাবে।

পৌষের কনকনে ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করেই শিশুরা তাদের অভিভাবকদের হাত ধরে স্কুলে এসেছে বই নিতে। করোনার কারণে এ বছর কোন আনুষ্ঠানিকতা না হলেও সন্তান নতুন বই হাতে পেয়েছে এতেই তারা আনন্দিত। বছরের প্রথম দিনটি তাই তাদের কাছেও অন্যরকম আলো। ছেলে-মেয়ে যখন নতুন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয় তখন যেমন আনন্দ তেমনি আনন্দ হয় তাদের নতুন বই হাতে পাওয়ার পরও। আজও তেমন আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু নতুন বই পেয়েছে বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীরাই এবং এই আনন্দ যেমন তাদের তেমনি অভিবাবকদেরও কারন তারাই জাতির ভবিষ্যত। এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে প্রতিদিন ৪টি বিষয়ের ওপর ক্লাস নেওয়া হবে। ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে প্রতিদিন (বিদ্যালয় খোলা থাকা সাপেক্ষে) ক্লাস হবে এবং দিনে ৩টি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হবে। ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে দুদিন ৩টি করে বিষয়ের এবং ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে একদিন ৩টি বিষয়ের ক্লাস নেওয়া হবে। পৃথক আরেক চিঠিতে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও সপ্তাহে ৪ দিন ক্লাস নিতে রুটিন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপাতত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই রুটিন চলবে। দেশের সকল জেলা থেকে বই বিতরনের খবর আসছে যা আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে অবহিত হচ্ছি প্রতিনিয়তই যা নতুন বর্ষবরণের আনন্দের মধ্যে আরও একটি নতুন সংযোজন বলে প্রতিয়মান। এখানে উল্লেখ্য ২০১০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিনামূল্যে বই বিতরণের যে কর্মসূচী হাতে নিয়েছিল, তা এবার ৪০০ কোটির ঘর ছাড়াতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি দাঁড়াচ্ছে ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১টি যা ২০২০ সাল পর্যন্ত বই বিতরণ করা হয়েছিল ৩৬৫ কোটি ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮১টি।

বর্তমান সরকার সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও জাতি গঠন, শিক্ষার মাধ্যম, আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান করা সহ বহু উদ্দেশ্য সামনে রেখে শিক্ষার উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষা সংস্কারের নামে কমিশন জাতির সামনে নিয়ে এসেছে। আশা করা যায় শ্ক্ষিা বিস্তার দেশের উন্নয়নের হাতিয়ার হউক, ২০২৬ সনে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে  বাংলাদেশের স্বীকৃতিতে শিক্ষা হউক প্রধান হাতিয়ার।

লেখক: গবেষক, অর্থনীতিবিদ ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।