নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে শিগগিরই ২ শতাংশ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে তালিকাভূক্ত ব্যাংকগুলো। যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা অর্থাৎ ২৫ শতাংশ এখনো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেনি, তারা শিগগিরই নতুন করে পুঁজিবাজারে ২ শতাংশ হারে বিনিয়োগ করবে। এছাড়াও পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে আরও কয়েকটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌছেছে বিএসইসি ও ব্যাংক প্রতিনিধিরা।
বুধবার (৯ মার্চ ২০২২) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করে দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান অর্থ কর্মকর্তারা এ প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান অর্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এক অডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৈঠকে পুঁজিবাজারের তারল্য সঙ্কট কাটাতে তিনটি বিষয়ে ব্যাংকগুলোর পক্ষে সিএফও’রা বিএসইসির সাথে একমত পোষন করেন।
সেগুলো হলো-
প্রথমত: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হারে বিনিয়োগের যে সীমা রয়েছে এবং সে অনুযায়ী যেসব ব্যাংক এখনো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে নাই তারা কয়েকদিনের মধ্যে পুঁজিবাজারে ২ শতাংশ হারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে।
দ্বিতীয়ত: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। এই বিশেষ তহবিল যেসব ব্যাংক গঠন করেনি তারা দ্রুত গঠন করবে এবং যাদের ফান্ড রয়েছে তারা সম্মিলিতভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাপোর্ট দেবে।
এছাড়া, টায়ার-১ এর অধীনে অতিরিক্ত মূলধন ও টায়ার-২ মূলধন হিসেবে যেসব ব্যাংক পারপেচ্যুয়াল বন্ড অথবা সাব অর্ডিন্যান্ড বন্ডের আবেদন করবে বিএসইসি সুপার ফার্স্ট ট্র্যাকের আওতায় তা অনুমোদন দিবে। এছাড়া যেসব বিষয় ব্যাংকের মূলধন উত্তোলনের সাথে জড়িত, সেসব বিষয়ও বিএসইসি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে।
বিএসইসির এই নির্বাহী পরিচালক জানান, এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন হলে বাজারে তারল্য সঙ্কট নিরসন হবে বলে আমরা মনে করি। এছাড়া পারপেচ্যুয়াল বন্ড অথবা সাব অর্ডিন্যান্ড বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো অর্থ সংগ্রহ করলে ওই মূলধনের ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে। যার ফলে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়বে, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//