Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Tuesday, 08 Nov 2022 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী এক/দেড় বছর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাধারণ জনগণের আইনের মাধ্যমে ক্ষমতায়ণ (এলকপ) এর চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য, সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

সোমবার (০৭ নভেম্বর ২০২২) ঢাকার ধানমন্ডির একটি রেস্তোরাঁয় ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাধারণ জনগণের আইনের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন (এলকপ) এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, রোকেয়া কবির, অজয় দাশগুপ্ত, অধ্যাপক ডা. মেসবাহ কামাল, অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, কাজল দেবনাথ, জেড, আই, খান পান্না, ড. মিহির কুমার রায়সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলকপের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

তিনি এলকপের দীর্ঘ ২২ বছরের যাত্রা এবং মানবাধিকার নিয়ে সামার স্কুল, পথ আইন (স্ট্রিট ল), এবং কমিউনিটি সংক্রান্ত আইন সংস্কারের মতো উদ্যোগগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্পিতা শামস মিজান।

ধারণাপত্রে তিনি বর্তমান পোস্ট-ট্রুথ যুগের কথা উল্লেখ করে বলেন, যেখানে সত্য প্রায়ই মিথ্যা খবর এবং বিভ্রান্তির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিরপেক্ষ, আসল সত্য উদঘাটন করতে সক্ষম এমন গবেষণা প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে ১৮ মাসব্যাপী গবেষণা প্রকল্পটির রূপরেখা প্রদান করেন।

প্রেজেন্টেশনের পর বিশিষ্ট আলোচকরা প্রকল্প এবং ধারণাপত্র সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।

এসময় রোকেয়া কবির অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে লিঙ্গভিত্তিক এবং সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার কথা তুলে ধরেন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও পরিবার উভয়ের একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া এলকপের মানবাধিকার উদ্যোগ এবং সাফল্য সম্পর্কে কথা বলেন এবং কীভাবে এই প্রকল্পটি সাধারণ মানুষের জন্য মানবাধিকার নিশ্চিত করতে চলমান লড়াইকে আরও প্রভাবিত করবে, সেটির কথাও বলেন।

অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল মানবাধিকারের ওপর গণ মতামত নথিভুক্ত করার উপর জোর দেন।

কাজল দেবনাথ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে কথা বলেন এবং এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে প্রকল্পের গুরুত্বের উপর জোর দেন।

অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, একটি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ আসন্ন হতে পারে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের মোকাবেলা করার জন্য এ ধরনের প্রকল্পগুলোর প্রয়োজন হবে।

অ্যারোমা দত্ত এলকপকে তাদের গণহত্যা বিষয়ক পাঠ এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবেলার পাঠের ওপর গুরুত্বারোপের আহ্বান জানান।

এলকপের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

তিনি বলেন, এলকপের লক্ষ্য এবং তার স্বপ্ন হলো একদল দ্রোহী আইনজীবী তৈরি করা, যারা সাধারণ মানুষ এবং তাদের অধিকারের পক্ষে কাজ করবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি দেশের সুশীল সমাজসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//