নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) রিসার্চ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে ‘নন-র্যান্ডম টপলোজি ইন বাংলাদেশ স্টক মার্কেট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইচএসকেসি সিস্টেমস (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুজয় দাস।
ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নটরডেম ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিয়িারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহিনা সুলতানা ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিয়িারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মনজুরুল হাসান। বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক সাফায়েদুজ্জামান খান সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।
বিআইসিএম জানায়, এই গবেষণাপত্রের মূল লক্ষ্য হলো, দেশের শেয়ারবাজারের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা, কার্যকরিতা ও পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা। কম্পিউটার সায়েন্সের বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে এই গবেষণাকার্য সম্পাদন করা হয়েছে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্লাটফর্ম। এখানে সাধারণ মানুষ তাদের উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। যেহেতু কোনো বিনিয়োগই ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাই গবেষকগণ শেয়ারবাজার থেকে ঝুঁকি হ্রাসের মাধ্যমে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে এই গবেষণাটি করেছেন। শেয়ারবাজারের অন্তর্নিহিত শেয়ার নেটওয়ার্ককে কম্পিউটার সায়েন্সের গ্রাফ থিওরির মাধ্যমে অপটিমাইজ করে তাঁরা এই গবেষণা কার্যটি সম্পাদন করেছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে সুজয় দাস এই গবেষণাটি সম্পাদন করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. শাহিনা সুলতানা বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে গ্রাফ থিওরির যে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য খুবই সহায়ক হবে। শেয়ারবাজারের অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড দূর করা যাবে। এই গবেষণা কর্মের ফলাফল ও এলগোরিদমকে ফিন্যান্সিয়াল বা বিজনেস মডেলের সাথে ব্যবহার করার মাধ্যমে বাস্তবায়িত করা হলে সার্থকতা আসবে।
মো. মনজুরুল হাসান বলেন, এই গবেষণায় চমৎকার কিছু ফলাফল পরিলক্ষিত হয়। তাহলো ‘র্যানডম টপোলজি’। তিনি বলেন, বিজনেস এর সাথে কম্পিউটার সায়েন্সের একটা দিক মিল রয়েছে। তা হলো ‘অপটিমাইজেশন’ অর্থাৎ ‘কস্ট কমিয়ে, প্রফিট বাড়ানো’। এক্ষেত্রে গ্রাফ থিউরি অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রিস্ক অনেকাংশে কমনো সম্ভব হবে।
বিআইসিএম এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, বিআইসিএম পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানে আমাদের নিজস্ব গবেষক রয়েছেন যা পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, কোন অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করতে গেলে এর বাস্তবতাগুলো যেন ভালোভাবে উঠে আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরবর্তীতে বিআইসিএম এর গবেষকদের সাথে যৌথভাবে পুঁজিবাজার সম্পর্কিত গবেষণাকাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপস্থিত অতিথিদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বিআইসিএম এর পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীন, সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সেমিনারে বিআইসিএম এর অনুষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগবার্তা/এমআর//