বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক: গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় অন্তত ২১টি অঙ্গরাজ্যে রাশানরা হ্যাকিং-এর চেষ্টা চালিয়েছিল বলে জানিয়েছেন একজন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সাইবার বিষয়ক কর্মকর্তা জেনেট ম্যানফ্রা সিনেট প্যানেলের শুনানির সময় এ তথ্য দেন। তবে কোন কোন অঙ্গরাজ্যে এমন তৎপরতা চলে তা তিনি জানাননি।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া প্রভাব বিস্তার করেছে কিনা এনিয়ে তদন্ত করছে এমন একটি সিনেট প্যানেলের কাছে সাক্ষ্য দেন দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের ওই কর্মকর্তা।
জেনেট ম্যানফ্রা নামের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের সেই কর্মকর্তা সেখানে জানান যে, তার কাছে প্রমাণ আছে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকিং প্রচেষ্টার।
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা ২১টি রাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যবস্থায় প্রমাণ পেয়েছি, যা আসলে তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল”।
ম্যানফ্রা এক প্রশ্নের জবাবে অবশ্য এও বলেন যে, এই হ্যাকিং-এ প্রকৃত ভোটের ব্যালট পরিবর্তিত হওয়ার কোন প্রমাণ নেই।
সিনেট প্যানেলের শুনানিতে কোন কোন রাজ্যে হ্যাকিং হয়েছিল সেগুলো প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
মিজ ম্যানফ্রা বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা পর্ব চলাকালে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল।
সিনেটের গোপন এই শুনানিতে মার্কিন নির্বাচনী ব্যবস্থার সার্বিক অখণ্ডতার বিষয়ে নিজের আস্থার কথা তুলে ধরেন এই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, তার সংস্থার পক্ষে ভোটের হিসেব পরিবর্তনের প্রচেষ্টা শনাক্ত করা সম্ভব যদিও ভোটিং মেশিনের ফরেনসিক পরীক্ষা চালানো হয়নি বলে স্বীকার করেন মিজ ম্যানফ্রা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনেক আগে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কথা বলে আসছিল। ক্রেমলিন এবং ট্রাম্পের প্রচার অভিযান সময়ের মধ্যকার যোগসূত্র প্রমাণ করতে এফবিআইও পৃথক তদন্ত করে দেখছে।
অবশ্য প্রথম থেকেই রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এসেছে।
একইরকমভাবে সর্বশেষ মঙ্গলবারও হোয়াইট হাউস মুখপাত্র শন স্পাইসার এমন অভিযোগের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন।
(এমআইআর/ ২২ জুন ২০১৭)