Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Saturday, 14 Dec 1901 02:45
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

ড: মিহির কুমার রায়ঃ বিগত ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, মঙ্গলবার সকালে শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষনে প্রধানমন্ত্রী বলেন সেবার মনোভাব নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয় তথা উন্নয়নের দিকে বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়ার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণসহ ২৫টি নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় প্রকল্পই গ্রহণ করতে বলেছেন যেগুলো এখনই প্রয়োজন হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার একটি গুরুত্বপূর্ন দিক ছিল প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও সময়ানুবর্তিতা যেখানে জনগুরুত্বপূর্ন প্রকল্প গুলো যেন বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার পায় যা হবে কর্মসংস্থানমুখী, উৎপাদনশীল, আয়বর্ধক, আমদানি বিকল্পবর্ধক এবং এসডিজি স্থানীয়করণের আওতায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে তৎপরতা জোরদারকরন ইত্যাদি।

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার এমন এক সময়ে আসল যখন বাংলাদেশ তার আর্থিক বছরের ছয় মাস অতিক্রান্ত করেছে এবং এই সময়ের উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন সরকারি সংন্থা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশ করেছে যা প্রাসংগিক বলে প্রতিয়মান হয়। এখানে বলা হয়েছে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ যা বিগত পাঁচ  অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সবচেয়ে কম। অর্থাৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থায়নের গতি কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটেছে এডিপি বাস্তবায়নে এবং প্রকল্প বিন্যাসের মাধ্যমে অর্থ ছাড়ে সতর্কতাকে যথার্থ বলছেন অর্থনীতিবদিরা। কারন অর্থবছরের শুরুতেই সরকার বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সব উন্নয়ন প্রকল্প তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে অর্থায়ন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অনেকেই বলছেন বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষিতে  প্রকল্প ব্যয় কামনোর সিদ্ধান্তটি ঠিক ছিল এবং বৈদেশিক সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিলে রিজার্ভের ক্ষেত্রেও  ইতিবাচক হবে যদিও এডিপি বাস্তবায়ন কমলে প্রবৃদ্ধিও কমতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

সরকারের ব্যয় কমানোর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমানো হয়েছে যার ফলে তা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে বিধায় সরকারের কৃচ্ছ্র কর্মসূচী ও আমদানি হ্রাসের কারণে এডিপি কিছুটা কমেছে বলে প্রতিয়মান হয়। এখানে উল্লেখ্য যে এর আগের অর্থবছরের শুরুতেই এডিপিতে থাকা ১ হাজার ৩৭২টি প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছিল সরকার। এসব প্রকল্প এ, বি এবং সি- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছিল যার মধ্যে এ ক্যাটাগরিতে থাকা ৬৪৬ প্রকল্পে বরাদ্দ করা অর্থ আগের মতোই ব্যয় হবে, তবে বি ক্যাটাগরিতে থাকা ৬৩৬ প্রকল্পের বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে অর্থাৎ প্রকল্পের গতি কমিয়ে আনা হয়েছিল, আর সি ক্যাটাগরিতে থাকা ৮১টি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ স্থগিত করা হয়েছিল। ফলে কৃচ্ছ্রতা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সাত শতাধিক প্রকল্পের কাজে বরাদ্দ ও গতি কমিয়ে আনা হয়েছিল যার প্রভাব মিলেছে এডিপি বাস্তবায়নের প্রতিবেদনে। আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৬০ হাজার ২৪৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকার যেখানে এ বছর এডিপিতে বরাদ্দ আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ বরাদ্দের তুলনায় বাস্তবায়নের হার ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এদিকে গত পাঁচ অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন ছিল ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ তবে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে একটু বেড়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ২৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের হার ছিল ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বাস্তবায়ন হয়েছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এবং ওই অর্থবছরের আলোচ্য সময়ে ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়। আর একক মাস হিসেবে শুধু ডিসেম্বরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ করেছে ১৩ হাজার ১২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, এই এক মাসে বাস্তবায়নের হার ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ যা এর আগের বছরের ডিসেম্বরে এডিপি বাস্তবায়ন ছিল ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৮০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ। এরপর সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সেতু বিভাগ, ৪২ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও আলোচ্য সময়ে ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অন্যদিকে প্রথম ছয় মাসে এখনো ব্যয়ের মুখ দেখেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ মাত্র শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে, এর পরেই আছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, একই সময়ে  স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন হার ২০ শতাংশের নিচে, আর স্বাস্থ্য খাতের দুই প্রতিষ্ঠানও এডিপি বাস্তবায়ন করেছে ১০ শতাংশের নিচে। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৬টি, এর মধ্যে মূল প্রকল্প এক হাজার ৪৪১টি, উপ-প্রকল্প ৪৬টি এবং উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ ৯টি। এসব প্রকল্পের মধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১০৬টি এবং এক হাজার ২৯৬টি বিনিয়োগ প্রকল্প।

আমরা যদি বিগত ৫০ বছরের প্রকল্পের বাস্তবায়ন রেকর্ড পর্যালোচনা করি তাতে দেখা যায় যে কেবলমাত্র নির্বাচনের বছর ছাড়া কোন বছরই ৮০ ভাগের বেশি এডিপি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি যা বাংলাদেশ  অর্থনৈতিক সমীক্ষায় সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়ে আসছে। চলমান বছরটি বর্তমান সরকারের বিদায়ী বছর এব্ এবছরে সরকার এডিপি বাস্তবায়নের পূর্ণ বছর হিসাবে পাবে যা আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) ছয় মাস সময় পাবে। কারন আগামী বছরের জানুয়ারিতে দেশে সংসদিয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে সরকার পরিবর্তনের প্রসঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ।  তাই কৌশলগতভাবে বছরটির গুরুত্ব অপরিসীম। বৈশ্বিক কারনে সরকার ব্যয়ের  ব্যাপারে সংকোচন নীতি গ্রহন করেছে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য যা সাম্প্রতিক মুদ্রা নীতিতে উল্লেখিত হয়েছে।

বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি তিন ঝুঁকিতে রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- অব্যাহতভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া,  ডলারের বিপরীতে টাকার মানে নিম্নমুখীর প্রবণতা ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি।  এসব কারণে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়ছে যা অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে  বড় ধরনের আঘাত করে যাচ্ছে। এ কারণে সরকারের সার্বিক ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি ব্যয় মেটাতে  বেড়েছে সরকারের ঋণনির্ভরতা। বৈদেশিক মুদ্রা আয়, রাজস্ব বাড়ানো ও ভর্তুকি কমানোর মাধ্যমেই এই চাপ কমানো সম্ভব। 

এখানে উল্লেখ্য চলতি (২০২২-২০২৩) বছরের বাজেট পর্যালোচনায় রাজস্ব আদায়ে দেখা যায় প্রথম ছয় মাসে  (জুলাই-ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ১৫ হাজার ১১২ কোটি টাকা টাকার বেশি।  তথ্য বলছে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬ কোটি টাকা,  এ সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব  আদায়ের প্রধান খাত আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং আয়কর ও ভ্রমণখাত থেকে পুরো  অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এখন আমদানি ও রপ্তানি খাত থেকে  পুরো অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের  লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে আদায় হয়েছে ৮২ শতাংশ, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক খাত যেখানে পুরো  অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, এর মধ্যে  ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬ হাজার ১২৯ দশমিক ১ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে শতকরা হারে ৯৫  শতাংশ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে যেখানে সারা অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১  লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৪১২ কোটি টাকা,  আদায় হয়েছে শতকরা হারে ৯৪ শতাংশ। এ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে ছয় মাস শেষে অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার  চেয়ে পিছিয়ে আছে ৬৩ শতাংশ। অর্থনীতিবিদগন বলছে বিদেশি ঋণের চাপ কমাতে হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তবে কর আহরণ বাড়াতে যে ধরনের সংস্কার দরকার তা এখনও করা হয়নি। রাজস্ব খাতে কার্যকর সংস্কার  ছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না।

একেতো এডিপিতে বরাদ্ধ কম, তারপর সরকারের রক্ষনশীল মুদ্রানীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, সরকারের অত্যাধিক লোননির্ভরতা ইত্যাদি সার্বিক পরিস্থিতির জন্য কিছুটা স্পর্শকাতর বিধায় আগামী ছয় মাসে (জানুযারী-জুন) উন্নয়ন বাজেটের (এডিপি) ৭৬ শতাংশ প্রচলিত আর্থিক কাঠামোতে কিভাবে ব্যয়িত হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকালে সরকার ব্যয়সাশ্রয়ী নীতি গ্রহন করলেও বাজেটভুক্ত উন্নয়ন খাতে অর্থ ব্যয়িত করতে সরকারতো নিরুৎসাহিত করেননি। এখন শুধু প্রয়োজন দক্ষতার সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চলা যা হবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কারন এই উন্নয়ন বাজেট বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট বাস্তবায়ন যদিও সরকার আগামী (২০২৩-২০২৪) অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত সময় পাবে বর্তমান গণতান্ত্রীক সরকার। তাই প্রশাসনিক মন্ত্রনালয়, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থ মন্ত্রনালয় ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংন্থা এক যুগে সরকারী নির্দেশনা মেনে এগিয়ে আসবে উন্নয়নের অংশীদার হয়ে এই আশা রইল।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), ডিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।