বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একে অপরকে বন্ধু এবং সহযোগী হিসেবে সম্বোধন করেছেন। বিশ্বের দুই বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতার ফলে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথ সম্প্রসারিত হবে বলেও প্রত্যাশা করেছেন এই দুই নেতা। খবর এএফপির।
গতকাল সোমবার দুই নেতা বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ট্রাম্প ও মোদি। ট্রাম্প জমানায় এটাই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। অর্থনীতি, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে এই সফরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এর আগে আর কখনোই এত ভালো ছিল না, এত সুদৃঢ় ছিল না।’ তিনি মোদিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের দুই দেশে নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই, আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চাই। দুই দেশের জন্য সহায়ক বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের বাজারে তাঁদের পণ্য যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দূর করার আহ্বান জানান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-ঘাটতি পূরণেরও আহ্বান জানান। এর জবাবে মোদি বলেন, মার্কিন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতের বাজার দিন দিন সহজ ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি হচ্ছে। মোদি আরও বলেন, ‘ভারতের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের নিকট সহযোগী বলে মনে করি।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আমার “নতুন ভারত” কর্মসূচির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের “যুক্তরাষ্ট্রকে আবার মহান হিসেবে গড়ে তোলার” প্রত্যয়ের মধ্যে একটা সাযুজ্য আছে। এ দুইয়ের মিলের ফলে আমাদের সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।’
এর আগে গতকাল রাতে দুই নেতা হোয়াইট হাউসে নৈশভোজ সারেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম কোনো বিদেশি অতিথির সম্মানে হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আয়োজন হলো।
নৈশভোজে ট্রাম্প মজা করে বলেন, ‘আমরা দুজনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার করি ব্যাপক।’
ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার আগে মোদি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম মাত্তিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মোদির এই সফরে দুই দেশের আলোচনার একটি অংশজুড়ে থাকছে আফগানিস্তান। স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে লড়াইয়ে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আরও পাঁচ হাজার নতুন সেনা পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, আফগানিস্তানের উন্নয়নের সহযোগিতার জন্য তিনি ভারতীয় জনগণকে ধন্যবাদ দিতে চান। জবাবে মোদি বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে যাবে।
(এসএএম্ ২৭ জুন ২০১৭)