নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে সাড়া ইতিবাচক ছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালে কোম্পানির কার্যক্রমের কিছুটা ধীর গতি ছিল। করোনাকালীন সময় আমাদের পণ্য ছিল তবে বিক্রি হতো না। এখন ধীরে ধীরে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আশা করছি ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক গতি বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা ‘মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টে’ অংশগ্রহণ শেষে এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিশিং মিলসের মার্চেন্ডাইজিংয়ের পণ্য সম্পর্কে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিস ফেলি।
তিনি আরও জানান, বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ তাঁত ও ফিনিশিং শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের পণ্যের প্রচার এবং নতুন ক্রেতাদের প্রদর্শনের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। বাণিজ্য মেলায় ব্যবসা বৃদ্ধি এবং নতুন ব্যবসায়িক যোগাযোগ তৈরিতেও সাহায্য করে। এই বছর, কোম্পানি একটি সুন্দর অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এছাড়াও বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
দীর্ঘদিন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পড়ে থাকা অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস লিমিটেড সক্রিয় হচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই বোর্ডে ফিরে আসার পর বিভিন্ন ইতিবাচক কার্যক্রমে পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে অ্যাপেক্স উইভিং। এরই মধ্যে কোম্পানিটি বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা ‘মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টে’ অংশগ্রহণ করেছে।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ১০০ শতাংশ তুলা এবং পলিয়েস্টার তুলা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং প্লেইন পণ্য তৈরি করে।
‘মেসে ফ্রাঙ্কফুর্টে’ প্রদর্শিত পণ্যগুলো বৈচিত্র্যময় এবং ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানির ক্রেতাদের জন্য সরবরাহ করা হয়। পণ্যের মধ্যে রয়েছে বালিশের কভার, বিছানার চাদর, কুশন কভার, পর্দা এবং তোয়ালে।
জার্মানিতে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চার দিনব্যাপী এ বাণিজ্য মেলা হয়। এটি একটি বার্ষিক ইভেন্ট যা ব্যবসায়িক যোগাযোগ এবং নতুন অর্ডার পাওয়ার অন্যতম প্লার্টফর্ম।
এ আয়োজনে বিভিন্ন দেশ থেকে আনুমানিক ২ হাজার ১৩২ জন প্রদর্শক এসেছেন, যা আগের ইভেন্টের তুলনায় কম ছিল। তবে ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
১৯৯৬ সালে অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস লিমিটেড বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। কোম্পানিটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বাজারে তৈরি পণ্য রপ্তানি করে।
১০০ শতাংশ রপ্তানিমুখী টেক্সটাইল মিল একটি একক কম্পাউন্ডের মধ্যে থেকে প্রশস্ত-প্রস্থ বুনন, ইন-হাউস প্রিন্টিং, ইন-হাউস ফিনিশিং এবং মিষ্টান্ন ইউনিট সরবরাহ করে।বর্তমানে, প্রতিদিন ১ লাখ ২০ হাজার মিটার ১০০ শতাংশ তুলা এবং পলিকটন মিশ্রণ তৈরি করা যেতে পারে (মুদ্রিত এবং রঙ্গিন)।
এদিকে কোম্পানিটির এরকম বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যে কোম্পানিটির কাছ থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগবার্তা/এসএল/এসএএম//