নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে আসছে দেশে কার্যরত বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৯০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। এ লক্ষ্যে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সভায় বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদসহ বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর বাংলালিংকের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান তারজিগলুর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলালিংকের পেইড আপ ক্যাপিটাল আট হাজার কোটি টাকা। নতুন করে আরও ৯০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি হবে। এর আগে গ্রামীণফোন ও রবি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বাংলালিংক তালিকাভুক্ত হলে বড় তিনটি মোবাইল অপারেটর পুঁজিবাজারে চলে আসবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আইপিওর ফিক্স প্রাইস পদ্ধতিতে বাংলালিংক পুঁজিবাজারে থেকে ৯০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়।
মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক মাল্টার টেলিকম ভেঞ্চারস লিমিটেডের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান, যা গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেডের ১০০ শতাংশ মালিকানাধীন একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অপারেশন চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে দেশে বাংলালিংকের চার কোটি গ্রাহক রয়েছে। ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানির আয় পাঁচ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডাটা খাতে আয় হয়েছে চার হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//