নিজস্ব প্রতিবেদক: বছরের পর বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড দেয় না পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত এমারেল্ড অয়েল। অথচ, মাত্র এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। শেয়ারের এমন দাম বাড়ার বিষয়ে তদন্ত করতে স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি জানান, সম্প্রতি এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দর বাড়ার বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রাথমিকভাবে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের এলিমেন্ট পাওয়া গেছে। স্টক এক্সচেঞ্জকে এমারেল্ড অয়েলের বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২ এপ্রিল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩০ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে ২ মে লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে।
অন্যভাবে বলা যায়, একজন বিনিয়োগকারী ২ এপ্রিল কোম্পানিটির ১০ লাখ টাকার শেয়ার কিনে রাখলে এখন তার শেয়ারের মূল্য ২১ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা এক মাস খাটিয়েই ১১ লাখ টাকার ওপরে মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে।
শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও ২০১৬ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে। লোকসানে নিমজ্জিত থাকায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ আলোচ্য তিন বছরে কোনো ধনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এমনকি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের পর কোম্পানিটি আর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এই কোম্পানির শেয়ারের এমন দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে এরই মধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তাও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
এমারেল্ড অয়েলের তদন্তের বিষয়ে বিএসইসির দেওয়া নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই’র এক কর্মকর্তা বলেন, বিএসইসির নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। তদন্ত করে যা পাওয়া যাবে প্রতিবেদন আকারে তা কমিশনের কাছে পাঠানো হবে।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//