নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করা টাকা ব্যবহারে এক বছর সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পর্ষদ।
আইপিওর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যবহার করতে পারছে না কোম্পানিাট। এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। পাশাপাশি এ সময় বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন চাইবে তারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে ওই সময় চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের মতামত জানতে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজকের বৈঠকে।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, আইপিওর অর্থ ব্যবহারের জন্য এ দফায় ১২ মাস সময় চাওয়া হবে শেয়ারোল্ডার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। সভায় জানানো হয়, আইপিও থেকে উত্তোলিত অর্থের মধ্যে এখনও ২৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার ২৪৪ টাকা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। যে কোনো একটি প্রকল্প গ্রহণ করে তার জন্য বিল্ডিংসহ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে ওই টাকা ব্যবহারর করা হবে। কিন্তু পোল্ট্রি খাতের বর্তমান অবস্থা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ব্যাংকগুলোর ঋণপত্র খুলতে অনীহার কারণে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন বেশ দুরুহ। তাই এটি বাস্তবায়নে আরও ১২ মাস সময় প্রয়োজন।
পর্ষদে নেওয়া সময় বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে মতামত নেওয়ার লক্ষ্যে আগামী ২০ জুলাই ইজিএম আহ্বান করেছে ইনডেক্স অ্যাগ্রো। আর এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ জুন।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা ইনডেক্স অ্যাগ্রো ২০২০ সালে ৫০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আইপিওর প্রসপেক্টাসে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে, এই টাকা বিনিয়োগ করে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির ব্যবসা সম্প্রসারণ করার কথা। কিন্তু নানা অজুহাতে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ না করে ওই টাকা ব্যাংকে ফেলে রাখে। এ অবস্থায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চায়। তখন কোম্পানিটিকে দ্রুততম সময়ে আইপিওর অর্থ ব্যবহারের তাগিদ দেওয়া হয়। তবে তাতেও কাজ হয়নি। কোম্পানিটি ওই অর্থ ব্যবহারে আবারও ১২ মাস সময় চাইছে।
বিনিয়োগবার্তা/এনএএস//