নিজস্ব প্রতিবেদক: চারটি ব্রোকার হাউজ গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়মে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিনিয়োগকারীরা। অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হচ্ছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গ্রাহকদের প্রাপ্য টাকার একাংশ ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা জারি করেছে।
বন্ধ হওয়া চারটি ব্রোকার হাউজ হচ্ছে - ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ লিমিটেড, বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোং লিমিটেড।
রোববার (১ অক্টোবর) এ বিষয়ে ওই ডিরেক্টিভ বা নির্দেশনা জারি করা হয়। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড থেকে আলোচিত চার ব্রোকারহাউজের গ্রাহকদের প্রাপ্য টাকার একাংশ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড এর ট্রাস্টি কমিটিকে তাদের তহবিল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একাউন্টে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে। এই ২৫ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হবে।
ব্রোকার হাউজ চারটির যে সব গ্রাহক স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তাদের পাওনার বিবরণ জমা দিয়েছেন, যাচাইবাছাই শেষে তাদের মধ্যে ওই টাকা বিতরণ করা হবে। এর জন্য কাট-অফ তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১ অক্টোবর। অর্থাৎ ১ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখের মধ্যে যারা ডিএসইর কাছে তাদের পাওনার বিবরণ ও নথিপত্র জমা দিয়েছেন, কেবল তারাই আলোচিত তহবিল থেকে টাকা পাবেন। ইতোমধ্যে ব্রোকারহাউজ চারটির কিছু গ্রাহককে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। তারা এর আওতায় আসবেন না।
উল্লেখ, ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড থেকে গ্রাহকদের পাওনার একাংশ ফেরত দেওয়া হলেও, তাতে প্রতিষ্ঠান চারটির দায়ের অবসান হবে না।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//