তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক: ‘শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং’ এই ধারণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্প্রতি লোকেশন-ভিত্তিক শেয়ারিং ও ইন্টার্যাকশন ফিচার ‘ইমো নাও’ নিয়ে এলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। ফিচারটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে ও তাদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে পারিবারিক সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এখানে মানুষ পরিবারের সাথে থাকতেই ভালোবাসেন। কাছের মানুষের প্রতি তাদের মমতা ও ভালোবাসা প্রকাশের অংশ হিসেবে এই সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের সমাজ যেহেতু অনেক বেশি পরিবারকেন্দ্রিক, তাই অনেক সময়েই আমাদের পরিবারের কেউ, বিশেষ করে তরুণ, বয়স্কবা পছন্দের কেউ বাইরে থাকলে বা অনেক দেরি করে বাসায় ফিরলে দুশ্চিন্তা হয়। অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে যে কারণে পরিবারের সদস্যদের দুশ্চিন্তা করতে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে ও পরিবারের সদস্যদের সাথে সপ্তাহের প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা একসাথে থাকতে ইমো একটি নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে, যেন ব্যবহারকারীরা পরিবারের সদস্যদের সাথে লোকেশন ও পরিস্থিতির তথ্য শেয়ার করার সুযোগ পান। ফিচারটি একদিকে কেবল দুশ্চিন্তাই কমাবে না, পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের দূরত্ব যাই হোক না কেন সবসময় তাদের কাছাকাছি রাখবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পড়াশোনা সম্পর্কিত কোনো কাজে আটকে গিয়ে একজন ছাত্রের বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে। রাতে দেরি করে বাসায় ফেরার সময় সে ‘ইমো নাও’ থেকে রুট শেয়ার করার সুযোগ পাবে। এতে করে সে বাড়ি ফিরে এসেছে কি না তা তার পরিবারের সদস্যরা দেখার সুযোগ পাবেন ও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। লোকেশন শেয়ারিং, রুট শেয়ারিং, স্ট্যাটাস নোটিশ ও জিপিএস নেভিগেশনের মতো ফিচার ব্যবহার করে পরিবারের সদস্যদের সাথে লোকেশন শেয়ার ও যোগাযোগ করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। ফলে পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত বোধ করতে পারবেন। যাতায়াত বা ভ্রমণে থাকার সময় যেকোনো জায়গায় যেকোনো ধরণের সমস্যা হলে পরিবারের সদস্যরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ট্যাটাস নোটিশ পাবেন। অর্থাৎ, পরিবারের সদস্যরা সবাই সবার সাথে কানেক্টেড থাকার সুযোগ পাবেন যা পরিবারের বন্ধনকেই আরও দৃঢ় করবে।
যেসব পরিবারের অর্থোপার্জনকারী সদস্যরা ভিন্ন কোনো শহর বা দেশে থাকেন, যেমন প্রবাসী শ্রমিকরা নিরাপত্তা ও হোমসিকনেসের কারণে উদ্বিগ্ন থাকেন। এসব ক্ষেত্রে তারা কোথায় আছেন তা পরিবারের সদস্যদের জানাতে ‘ইমো নাও’ খুব কার্যকরী হবে। এতে করে তাদের আত্মীয়স্বজনেরা নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ পাবেন। একইসাথে, প্রবাসে থাকা সদস্যটিও বাড়িতে থাকা তার সন্তান, সঙ্গী বা পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা একটি ভার্চ্যুয়াল ম্যাপের মাধ্যমে কানেক্টেড থাকার সুযোগ পাবেন। যেকোনো লোকেশন আপডেটের ওপর ভিত্তি করে ‘ইমো নাও’য়ের মাধ্যমে যখন পারিবারিক গ্রুপ ব্যবহারকারীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করবেন তখন প্রবাসী বাংলাদেশীরাও এই উষ্ণ যোগাযোগের কারণে নিজেদের হোমসিকনেস কমিয়ে আনার সুযোগ পাবেন।
ইমোর বিজনেস ডিরেক্টর মেহরান কবির বলেন, “ইমো’র কার্যকরী ভয়েস ও ভিডিও কলিং সেবার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে পরিবারগুলোকে কাছাকাছি রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। পরিবারের সকল সদস্যকে কানেক্টেড রাখতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত সদস্যদের দুশ্চিন্তা কমাতে নতুন এই ইমো নাও লোকেশন শেয়ারিং ফিচার নিয়ে এসেছি আমরা। এই ফিচারের সাহায্যে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিবারকেন্দ্রিক চেতনা অটুট রাখতে পারবেন। দূর প্রবাস অথবা কাছের কোনো গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলা – কোনো পরিস্থিতিতেই থাকবে না আর কোনো দুশ্চিন্তা।”
এছাড়াও, ‘ইমো নাও’ ফিচারে ফ্যামিলি গ্রুপ ইন্টার্যাকশন টুলস – কলস অ্যান্ড চ্যাটসের মতো নানারকম সুযোগ থাকছে। যা বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের একে অপরের সাথে রিয়েল-টাইম যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় ডিটেইলস শেয়ার করার সুযোগ করে দিবে। এটি পরিবারের সদস্যদের কানেক্ট করবে, তাদের বন্ধন সুদৃঢ় করবে; পাশাপাশি, একটি পরিবারকেন্দ্রিক সংস্কৃতি নিশ্চিত করবে।
বিনিয়োগবার্তা/কেএইচকে//