Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Thursday, 08 Feb 2024 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে দক্ষ চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস। তিনি বলেন, কানাডায় বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের ভালো চিকিৎসার জন্য কানাডায় দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দরকার।

বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার। এ সময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেলে অধিক সংখ্যক সিজারিয়ান বেবি জন্ম নেয় বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা, গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করা প্রসঙ্গেও কথা বলেন।

কানাডার হাইকমিশনার বলেন, ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছি। তবে, এই নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে। এর জন্য কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্বমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন হাই কমিশনার।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশে পর্যাপ্তসংখ্যক দক্ষ নার্স, চিকিৎসক রয়েছে বলে কানাডার হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় হাই কমিশনারের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছে যারা বিশ্বের যে কোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে, তাদেরকে আরো বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে আমাদের। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও নার্সিং পেশাকে যুগোপযোগী করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের উদ্যোগের পাশাপাশি কানাডা সরকারের সহায়তা পেলে বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দেশের প্রায় চার হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামে থাকা মেয়েদেরকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদানসহ গ্রামীণ মায়েদের জন্য ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের বাজেট মাত্র এক শতাংশ এবং কানাডার স্বাস্থ্যখাতে বাজেট ১২ শতাংশ। বাংলাদেশ এত কম বাজেটে এত বিরাট সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে কি না এবং ভবিষ্যতে কানাডা সরকারের কোন ধরনের সহায়তা লাগবে কি না, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে কানাডা হাইকমিশনার জানতে চাইলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আরো কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আরেকবার বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ জানান। কানাডা হাইকমিশনার ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয়েই পরবর্তীতে আরো একবার সাক্ষাতের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//