নিজস্ব প্রতিবেদক: আবাসন খাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে ২৯টি পরিচালক পদের বিপরীতে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ ২৫টি পদে জয় পেয়েছে।
ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিহ্যাব নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত কুমার দে।
নির্বাচন ফলাফলে দেখা যায়, রিহ্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান এবং লিয়াকত আলী ভূঁইয়ার এই প্যানেল ঢাকায় ২৬টি পরিচালক পদের মধ্যে ২৩টিতে জয় পেয়েছেন। আর চট্টগ্রামের তিনটি পরিচালক পদের মধ্যে দুটিতে জয় পেয়েছেন তাঁরা।
প্রায় এক যুগ পর মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে (কেআইবি) ২০২৪-২৬ মেয়াদের এ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে থাকা ওয়াহিদুজ্জামান ও লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।
এ ছাড়া বিজয়ী হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ, মো. আক্তার বিশ্বাস, মহসিন মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ সাদী, হারুনুর রশিদ, লাবিব বিল্লাহ, মিরাজ মুক্তাদির, আইয়ুব আলী, শোয়েব উদ্দিন, লায়ন এম এ আউয়াল, কামরুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, এএফএম ওবায়দুল্লাহ, ইন্তেখাবুল হামিদ, দেওয়ান নাসিরুল হক, সেলিম রাজা পিন্টু, ফারুক আহমেদ, শেখ কামাল, ইমদাদুল হক, আরিশ হায়দার, সুরুজ সরদার, ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল ফরহাদ এবং ডা. এন জোহা।
এদের মধ্যে ইন্তেখাবুল হামিদ (জয় ধারা), আরশি হায়দার (ডেভেলপার্স ফোরাম), ডা. এন জোহা (জয় ধারা) ছাড়া সবাই ঐক্য পরিষদের সদস্য।
বিজয়ী প্যানেলের চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত দুজন হচ্ছেন হাজী দেলোয়ার হোসেন ও মোরশেদুল হাসান। এ ছাড়াও চট্টগ্রামে জয়ধারা প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
নির্বাচনে ঢাকার ২৯ পরিচালক পদের বিপরীতে লড়েছেন ৮৬ জন প্রার্থী। আর চট্টগ্রামের তিনটি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন।
মোট ৪৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪০৯ জন বা ৮৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর মধ্যে ভোটগ্রহণের প্রথম ঘণ্টায় ভোট পড়ে ১৩১টি, দ্বিতীয় ঘণ্টায় ৬১টি এবং তৃতীয় ঘণ্টায় আরও ৭৮টি ভোট পড়ে। এতে দুপুর ১টা পর্যন্ত মোট ভোট কাস্ট হয় ২৭০।
এরপর চতুর্থ ঘণ্টায় ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত পড়ে ৪৬টি ভোট, পঞ্চম ঘণ্টায় ৫২ ভোট এবং সর্বশেষ ঘণ্টায় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সময়ে ভোট পড়েছে ৪১টি।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//