নিজস্ব প্রতিবেদক: নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকান্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় রাসায়নিক গুদাম (কেমিক্যাল গোডাউন) হিসেবে ১টি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) প্রদান করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। এর ফলে দীর্ঘ ১ যুগ পর রাসায়নিক গুদাম হিসেবে প্রথম কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য অনুমতি দিল দক্ষিণ সিটি।
শিল্প মন্ত্রণালয় রাজধানীর শ্যামপুরে বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রেক্ষিতে 'মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং' নামক রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য অনুমতি নবায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য অনুমতি নবায়নের আবেদন করলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাদসিক উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানকে নবায়নকৃত এই বাণিজ্য অনুমতি দেয়। এ প্রেক্ষিতে ঢাদসিক'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অন্যান্য সকল রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হবে। নিরাপদ হবে আমাদের পুরাতন ঢাকার সামগ্রিক পরিবেশ। যারা স্থানান্তরিত হবে না, পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, "শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে রাসায়নিক গুদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে অগ্নি নির্বাপনের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও খোলামেলা পরিবেশ হওয়ার সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক কম। পাশাপাশি এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জায়গার উপর যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা প্রায় শেষ পর্যায়ে।"
গত বছরের ৪ জুন শ্যামপুরে ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্প চালু করা হয়। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সেসব গুদাম উদ্বোধন করেন।
এসএএম//