ডেস্ক রিপোর্ট: অবশেষে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগামী সপ্তাহে নতুন করে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এতে অংশ নিতে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কোম্পানি ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ৫৫টি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে পেট্রোবাংলা।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ তেল–গ্যাস–খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সমুদ্রে বহুমাত্রিক জরিপ চালিয়ে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। ১০ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে। দরপত্রে অংশ নিতে বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি ছয় মাস সময় পাবে।
সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর গত এক যুগেও বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। চারটি বিদেশি কোম্পানি কাজ শুরু করলেও তিনটি ছেড়ে গেছে বঙ্গোপসাগর।
সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সর্বশেষ দরপত্র ডাকা হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর ২০১৯ সালে নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি। প্রায় চার বছর পর গত জুলাইয়ে নতুন পিএসসি চূড়ান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। বিদেশি কোম্পানির আগ্রহ বাড়াতে এতে আগের চেয়ে সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা–বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এখন গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লক আছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে গভীর সমুদ্রে দুটি ব্লকে কাজ নেয় কনোকোফিলিপস। তারা দ্বিমাত্রিক জরিপ চালালেও পরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি পূরণ না হওয়ায় কাজ ছেড়ে চলে যায়। এ ছাড়া একইভাবে চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার স্যান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ু। এখন একমাত্র কোম্পানি হিসেবে অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। এ দুটি বাদ দিয়ে বাকি ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//