ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত ও বাংলাদেশ—উভয়ের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে মুক্ত, অবাধ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দোপ্যাসিফিক নিশ্চিতে অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কাজ করে যাবে মার্কিন সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সোমবার আয়োজিত এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত দৈনিক ব্রিফিং চলাকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের একজন ম্যাথিউ মিলারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ অঞ্চলে “ইন্ডিয়া আউট” প্রচারণা বৃহত্তর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘এ প্রচারণার তথ্য সম্পর্কে আমরাও অবহিত। তবে আমি একক কোনো ভোক্তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, তিনি বাংলাদেশ বা বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানেরই হন না কেন। কিন্তু আমরা ভারত ও বাংলাদেশ—উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ককে মূল্যায়ন করি। অবাধ, মুক্ত, নিরাপদ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে দুই দেশের সরকারের সঙ্গেই অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে আমরা কাজ করব।
ওই সাংবাদিক আরো এক প্রশ্নে বলেন, ‘নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে করা মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অ্যাটর্নি। এ বিষয়ে আপনার ভাবনা আমাদের বলবেন কি?’
জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা এ মন্তব্য সম্পর্কে অবগত আছি। আপনারা শুনেছেন আমি এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের বিষয়ে বলেছি। আমি এ-ও বলেছি, এগুলোর মধ্য দিয়ে ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী আইনের অপপ্রয়োগ ও তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের বিষয়টি প্রকাশ পেতে পারে। রাষ্ট্রদূত হাস বাংলাদেশে মার্কিন সরকারের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি হিসেবে তার এখতিয়ারের মধ্যে থেকেই এসব মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন মাত্র।’
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//