নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য ৩০ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সেদ্ধ চাল ৪৯ হাজার টন ও আতপ চাল আনা হবে ৩৪ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।
সম্প্রতি দেশের সর্বত্র চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রথম ধাপে বেসরকারিভাবে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৩০টি প্রতিষ্ঠাকে অনুমতি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চালের বাজারের সংকট দ্রুত কাটিয়ে উঠতে আমদানি করা চাল ২৫ এপ্রিলের মধ্যে বাজারজাতের জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন করে প্যাকেটজাত করা যাবে না। অর্থাৎ আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে ১০ লাখ ৫৬ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের এখন পর্যন্ত চাল আমদানি করা হয়নি।
এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালে দাম। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭১ টাকায়। এছাড়া নাজিরশাইল, স্বর্ণা ও ব্রি-২৮ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০-৮০, ৫২ ও ৫৬ টাকায়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেশে প্রতিদিন চালের চাহিদা এক লাখ টন। আমনের মৌসুম শেষ এবং বোরো চাষ শুরু হবে। মাঝে এক-দেড় মাসের একটি গ্যাপে চালের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করতে পারেন চালকল মালিক ও মজুদদাররা। তাই আমদানির এ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। পরে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকেও এমন অনুমোদন দেয়া হবে।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//