ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারালো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বিস্ময়–বালক এনদ্রিকের গোলে ১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল।
খেলায় প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। ১০ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে নেয়া রদ্রিগোর শট রুখে দেন ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। তিন মিনিট পর কাইল ওয়াকারের দক্ষতায় ব্রাজিলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ইংল্যান্ড। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বল নিয়ে পিকফোর্ডকে বিভ্রান্তিতে ফেললেও গোললাইনে পৌঁছানোর আগে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন ওয়াকার।
পরের মিনিটেই লুকাস পাকুয়েতার দুর্দান্ত পাস থেকে বল পেয়েও ফিনিশিং করতে পারেননি ভিনিসিয়ুস। তার দুর্বল শট ব্যর্থ হয় জালে জড়াতে। ১৮ মিনিটে আবারও রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সের মধ্যে থেকে তার নেওয়া শট গোলবারের পাশ দিয়ে যায়।
ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা আধঘণ্টা পার হওয়ার আগেই ওয়াকার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তিনি দেন হ্যারি ম্যাগুইরেকে। ২০ মিনিটে তার বদলি হয়ে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষিক্ত হন সেন্টার ব্যাক এজরি কোনসা।
২৪ মিনিটে বেন চিলওয়েলের কর্নার থেকে ম্যাগুইরে লক্ষ্যে হেড করেছিলেন। কিন্তু তার শট ব্রাজিলের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চার মিনিট পর অ্যান্থনি গর্ডনেরও একটি বাঁকানো শট রুখে দেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফ্র্যাব্রিসিও ব্রুনো।
৩৫ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে দারুণ সুযোগ পায় ব্রাজিল। পিকফোর্ডকে ভুল দিকে পাঠালেও পাকুয়েতার ওই শট গোলপোস্টে আঘাত করে। তার আগের মিনিটেই জন স্টোন্সকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন পাকুয়েতা। তার কপাল ভালো, ৪১ মিনিটে জুড বেলিংহ্যামকে ফাউল করেও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেননি। পরের মিনিটে ম্যাগুইরের হাস্যকর ভুলে গোল খেতে বসেছিল ইংল্যান্ড। বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে দখল হারান। রাফিনহা লক্ষ্যে শট নেন, কিন্তু বল গোলপোস্ট ঘেষে মাঠের বাইরে যায়।
বিরতির পর ইংল্যান্ড প্রথম সুযোগ পায়। অ্যান্থনি গর্ডন ছয় গজ বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে লক্ষ্যে শট নেন। ব্রাজিলিয়ান কিপার বেন্তো তার বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ৈ দেন । বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনে ইংল্যান্ড ও ব্রাজিল। ৭১ মিনিটে পাকুয়েতা ও রদ্রিগোর বদলি হয়ে মাঠে নামেন আন্দ্রেস পেরেইরা ও এনদ্রিক। এর ৯ মিনিট পর গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। ৮০ মিনিটে পেরেইরার পাস ধরে বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন ভিনিসিয়ুস। তার শট পিকফোর্ড ফিরিয়ে দিলেও জায়গামতো ছিলেন এনদ্রিক। বাঁ পা দিয়ে খালি জালে বল ঠেলে দেন ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। অফসাইড যাচাইয়ে বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখা হলেও গোল বহাল থাকে।
১৮ বছর পূর্ণ হলেই রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে যাওয়া এনদ্রিক শেষ মুহূর্তে আরেকটি গোল করতে পারতেন। বক্সের সেন্টার থেকে নেওয়া তার শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। তবে ঠিকই জয় আদায় করে ব্রাজিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৯ সালের পর প্রথমবার। ব্রাজিলের জার্সিতে তিন ম্যাচ খেলে প্রথম গোলে একটি রেকর্ড গড়েছেন এনদ্রিক। ওয়েম্বলিতে সর্নকনিষ্ঠ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ওয়েম্বলিতে জাল কাঁপালেন ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সী এই খেলোয়াড়।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//