নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক একীভূত করবে আরেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএলকে। এ নিয়ে সোমবার (৮ এপ্রিল) উভয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুই ব্যাংকের পর্ষদই একীভূত হতে সম্মতি জানিয়েছে।
এখন ব্যাংক দুটির বোর্ডের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করা হবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী একীভূত হবার প্রক্রিয়া চলবে। অর্থাৎ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত ১৮ মার্চ একীভূত হওয়ার লক্ষ্যে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংক। একীভূত হওয়ার পর এটি এক্সিম ব্যাংক নামেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে এক্সিম-পদ্মার পর বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে দুর্দশাগ্রস্ত বেসিক ব্যাংক। নিজেদের উদ্যোগে একীভূত হচ্ছে, এমনটা বলছেন ব্যাংক দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) একীভূত হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেলেই বিডিবিএলকে অধিগ্রহণের বাকি কাজ করবে সোনালী ব্যাংক।
বিডিবিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, একীভূত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে নির্দেশনা ছিল, সোমবার এটি বোর্ডে উঠানো হলে পর্ষদ একমত হয়েছে। অর্থাৎ সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে একমত বিডিবিএল। বোর্ডের সিদ্ধান্ত দ্রুতই বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
একই কথা জানান সোনালী ব্যাংকের একজন ডিএমডি। তাদের বোর্ডও আজ বিডিবিএলকে অধিগ্রহণ বিষয় অনুমোদন করে।
সোনালী ব্যাংকের এক সূত্রমতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ইঙ্গিত পেয়ে বিডিবিএলের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে সোনালী ব্যাংক। যা সোমবার পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হয়। বিডিবিএলকে সোনালীর সঙ্গে একীভূত করতে পর্ষদ অনুমোদন দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সমঝোতা চুক্তিতে একীভূত করার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
গত বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে বৈঠক করে দুর্বল ব্যাংককে সবলের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরদিন বৃহস্পতিবার একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে, ব্যাংকগুলো নিজেদের পছন্দে বাছাই করতে পারবে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//