সোমবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ, হত্যা, দেশের সম্পদ ধ্বংস ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। সমাবেশে জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন।
সমাবেশের শুরুতেই কোটা আন্দোলনে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা ও শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সমাবেশ জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর হক খান বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির এই আন্দোলন ছিনতাই করে। যেভাবে সরকারি স্থাপনা আক্রমণ করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা কোনো আন্দোলন না, এটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বলেন, সরকারি স্থাপনা এবং উন্নয়নের স্মারক অবকাঠামোগুলোতে আগুন লাগানো হয়েছে। এসব ঘটনার পেছনে শিক্ষার্থীরা ছিল না। সন্ত্রাসী ভাড়া করে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাবু জাফর স্বপন, আবদুল মালেক, নুরজাহান খান নুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, মায়েদুল ইসলাম তালুকদার, নুরে আলম সিদ্দিকী রুবেল, রাগিবজ্জামান সুফিয়ান, রানা ভুঁইয়া, আকরামুজ্জামান কামাল ভুঁইয়া, সূর্য কান্ত ঘোষ, সরফুদ্দিন জুয়েলে, পিয়েল আহমেদ, শেখ রেদোয়ান, ওয়াদুত মিয়া, শাহআলম, ফিরোজ আহমেদ, বেলাল হোসেন, ফরিদ আহম্মেদ, জহিরুল হক, সালাহউদ্দিন, এনামুর রহমান মুসা, রনি মাতুব্বর, প্লবন ভুঁইয়া, ফরিদ মিয়া, বদিউজজামান, জার্মান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খান সাবরা, জার্মান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিশাত বাপ্পী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, দেশের সম্পদ নষ্টকারীদের শাস্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতির বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//