নিজস্ব প্রতিবেদক: বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৬ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলো আর কোনো গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না।
ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।
ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে গেছে। আর ওই টাকার বড় অংশই বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব ব্যাংক নতুন করে ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। আগের ঋণ নবায়নও করতে পারবে না। তবে কৃষি, চলতি মূলধন, এসএমই, আমানতের বিপরীতে ঋণ ও প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে। পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানে বিদায় নেওয়া আওয়ামীলীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারের প্রশ্রয়ে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) ব্যাংকিং খাতে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এক ব্যক্তিতে পরিণত হন। খোদ ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগসাজশ ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে ব্যবহার করে ব্যাংক দখল, একাধিক ব্যাংকের লাইসেন্স নেওয়া, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণের আড়ালে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেন তিনি। এমন বেপরোয়া লুটতরাজে ব্যাংকগুলো রুগ্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় তীব্র তারল্য সঙ্কট। তাদের চলতি হিসাবও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। আইন অনুসারে, এমন অবস্থায় কোনো ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আইনকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেন।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//