Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Thursday, 12 Sep 2024 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

মো: লিয়াকত হোসেন: আমি কোনো কলামিস্ট না, কোনো রাজনীতি করিনা, দেশের একজন  সচেতন ও সাধারন দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসাবে ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের যে সত্যিকারের স্বাধীনতা আমরা প্রতিষ্ঠিত করলাম সেটুকু ধরে রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা সমগ্ৰ বিশ্বের অর্থনৈতিক রূপকার এবং বাংলার অহংকার ও নয়নের মনি নোবেল ল'রেট মো: ইউনূস স্যারসহ সকল উপদেষ্টাগন, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, আইনবিদ বুদ্ধিজীবি, কলামিস্ট, ডক্টরেট, চিকিৎসাবিদ, ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেনী-পেশার জনগনের প্রতি আমার সীমিত জ্ঞানের কিছু মতামত প্রকাশ করলাম: 

ক) কেয়ার টেকার সরকার সংবিধানে জরুরী সংশোধনী অত্যাবশ্যকীয়।
খ) কোনো সরকারের মেয়াদ তিন বছরের বেশি হওয়া উচিত হবে না।
গ) পুলিশ বিভাগ: আইন শৃঙ্খলা রক্ষাতে নি:সন্দেহে পুলিশের কোনো বিকল্প নেই। যদিও আমরা শুনেছি উপদেষ্টাদের কেউ কেউ আবেগের ছলে বলেছেন দশজন পুলিশ থাকলে দুজন খারাপ, ভিন্নমত হলো তার উল্টো টা। সতেরটি বছরে কোনো পুলিশকেই ভালো থাকতে দেওয়া হয়নি। ভালো পুলিশকে খারাপের সাথে মিশে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো। আর এ প্রবাদটি আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা ট্রাফিক কর্তব্য পালন করে সকলের নজরে এনেছেন "যে দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো"।

পুলিশের চাকুরীতে যখন এতটাই সুযোগ সুবিধা আর এতটাই ক্ষমতা সেই সুন্দর কর্মস্থলে পুলিশেরা কেন যথাসময়ে প্রত্যাবর্তন করতে অনীহা প্রকাশ করলেন?

ধরে নেয়া যায়, তার প্রধান কারনগুলো নিম্নরুপ:

১) ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে আর কোনো উপায়ে পূনরায় উৎকোচ সংগ্ৰহের সুযোগ করতে না পারা।
২) নিয়োগকালীন সময়ে নিয়োগ কর্তাকে এককালীন উৎকোচ প্রদান করা (পদবি অনুযায়ী কন্সটেবল: থেকে এস আই পর্যায়ে ৭ লাখ থেকে ১৫/১৬ লাখ পর্যন্ত)
৩) উক্ত টাকাগুলো একসাথে জমা করতে না পারা।
৪) তা যাকে তাকে যখন তখন থানায় নিয়ে হেনস্তা করে টাকা আদায় করতে না পারা।
৫) ফ্লাট ভাড়া সংগ্ৰহ করতে না পারা।
৬) প্রাইভেট গাড়ি কিনতে না পারা।
৭) সন্তানদের ভালো পরিবেশে অধ্যায়ন করতে না পারা।

এককথায় জীবন জীবিকার মান ধরে রাখতে না পারা।

পুলিশকে ঢেলে সাজানো ও সংস্কার করা অত্যাবশ্যক:

ক) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ নামকরণ করে তিন বাহিনী হতে মনোনীত একজন উর্ধতন কর্তাব্যক্তিকে ডিজি করে প্রেশনে নিয়োগ দিয়ে পুলিশ প্রধানকে তার অধিনস্ত করা যেতে পারে। ডিজি মহোদয় পুলিশ প্রধানকে নিয়ে অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিধান করতে পারেন।
খ) পুলিশ প্রধানসহ সকল এআইজি, ডিআইজি এর পদবি পুলিশের সর্বমোট জনবলের সংখ্যা অনুযায়ী অথবা পিআরবি অনুযায়ী নির্ধারণ করা যাইতে পারে। একজন পুলিশ প্রধান কখনোই তিন বাহিনীর প্রধানের সম পদবি সমান হতে পারে না।
গ) থানায় নিয়োজিত একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন ক্যাডার হয়ে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা পেলে (পূর্বে তারা দ্বিতীয় শ্রেনির মর্যাদার ছিলেন যেটা ছিলো তিন বাহিনীর মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ন। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় পুলিশ প্রধান কতৃক করিয়ে নিয়েছেন) তিন বাহিনীর জেসিওরা কেনো দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা রয়ে গেলেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পূর্বের ন্যায় দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা করা যাইতে পারে। অন্যথায় তিন বাহিনীর জেসিওগন একটি বিশেষ প্রশিক্ষন মোরাল এন্ড লিডারশিপ সম্পন্ন করেই জেসিও পদবীতে ভূষিত হোন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন প্রথম শ্রেণীর সম্মান পেলে, তিন বাহিনীর জেসিওগন ঐ একই সম্মান পেতে পারেন।
ঘ) থানায় নিয়োজিত প্রত্যেক ভারপাপ্ত কর্মকর্তাদের কোনো থানাতে ৬ মাসের বেশি রাখা প্রযোজ্য হবেনা।
ঙ) বিবাহিত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যদের ১০০% বাসস্থান ও সল্পমূল্যে রেশন নিশ্চিত করা যাইতে পারে।
চ) দ্রব্যমূল্যের সাথে সংগতি রেখে বেতন কাঠামো প্রতি বাজেটে মহার্ঘ ভাতা বর্ধিত করা যাইতে পারে।
ছ) প্রতিটি ট্রাফিক সিগনালে ডিজিটাল লাইটিং সিগনালিং সিস্টেম, স্পীড মিটার এবং সফ্টওয়ার বেজড রাডার প্রতি ৩০০ মিটার পর পর স্থাপন করা হলে ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে পুলিশের জনবল অনেকটা হ্রাস করা যাইতে পারে (যা মধ্য প্রাচের দেশগুলোতে বিদ্যমান, সড়কে পুলিশের উপস্থিতি না দেখার মতন, সব কিছুই রাডার কন্ট্রোল দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত)।

সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়,
বাংলাদেশের জাতীয় "রোগ চাঁদাবাজ" আর এ থেকে আমরা বীরের জাতি মূক্ত হতে চাই, কোথাও কোনো স্বস্তীর নি:শ্বাস নেই। রাস্তাঘাট, ফুটপাত, ভ্যান, পরিবহন, টার্মিনাল, অলি গলি, অফিস আদালত, বাসাবাড়ী। এই চাঁদাবাজদের যদি সমূলে নিয়ন্ত্রন না করা যায়, তাহলে জনমনে কিছুতেই স্বস্তি ফিরে আসবে না এবং দূর্ভোগ কমবে না। এ ব্যাপারে কঠিন আইন তৈরী করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন নামে যে সংস্থাটি রয়েছে, এটা বিলুপ্ত করে দেওয়া হলে যাত্রী প্রতি ভাড়া লাঘব হতে পারে। "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা" যেখানে পরিবহন সেক্টরের সিংহ ভাগ চাঁদা সংগ্ৰহ ও বন্টন করা হয়ে থাকে। তিন মেয়াদে দীর্ঘ পনেরো বছরে আওয়ামী আমলারা হাজার-হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে টাকার পাহাড় ও বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনেছেন, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। তন্মধ্যে মহাখালী, সায়েদাবাদ এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে হাজার হাজার কোটি টাকা মালিক ও শ্রমিক সমিতির সেক্রেটারি সভাপতি আত্বসাত করে নেন এই হাজার হাজার কোটি টাকা। এক্ষেত্রে জরুরীভাবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হোক। প্রতিনিয়ত বা মাঝে মাঝে মালিক/শ্রমিক অফিসগুলো তল্লাশি করা যেতে পারে। একইসঙ্গে যাত্রী সাধারনের কথা চিন্তা করে ভাড়া পূন:নির্ধারণ করা আবশ্যক।

সিন্ডিকেট প্রধান:
ভয়াল থাবা ভন্ড দরবেশ বাবা দেশের শীর্ষস্থানীয় আমদানি ও রপ্তানি তন্মধ্যে বসুন্ধরা গ্ৰুপের মাফীয়া তানভীর সোবহানসহ সকল কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোগ্যপন্যের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি করে ঠান্ডা মাথায় জনগনের কষ্টের টাকাগুলো কেড়ে নিয়ে প্রধান মন্ত্রীকে তিন তিনবার মসনদে বসার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। বিবিধ আমদানি রফতানি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাক্ষিক এবং মাসিকভিত্তিক সভার মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। উক্ত প্রক্রিয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রনে থাকার সম্ভাবনা থাকবে। এস আলম, বসুন্ধরা গ্ৰুপ যারা আনসার দিয়ে পাখির মত গুলি করে মানুষ মেরে হাজার হাজার একর জমি দখল করেছে, যারা নদি, খালের জায়গা দখল করে জলাশয় সৃষ্টি করেছে, খাল ও নদী প্রশাসনকে হুমকির পথ তৈরী করেছে- তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে ব্যাবস্থা নেওয়া অতীব জরুরী।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র: সাবান, পেস্ট, কসমেটিক এবং ডেইরী মিল্ক, বেকারী আইটেম এসবের কোনোই নিয়ন্ত্রন নেই।

ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের পরামর্শ এবং নামকরন প্রসঙ্গে:

আমি একজন অভিভাবক হিসাবে এমনি প্রস্তাবনার বিপক্ষেই আমার অভিমত পোষন করছি যে এখানে দুটি বিষয় তুলে ধরা যেতে পারে, প্রথমটি হলো ছাত্র আন্দোলন আর দ্বিতীয়টি হলো রাজনীতিতে (ছাত্রকে) নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। ছাত্রদের জন্য এই রাজনীতি দেশের জন্য এবং নিজের জন্য কতটুকু উপকারে আসবে ইহা ভাববার বিষয়। যখনি ছাত্র রাজনীতি দল হিসাবে নিবন্ধিত হবে, স্বভাবত কারনেই তখনি ছাত্র ঐক্য পরিষদ বিলূপ্ত হয়ে যাবে এবং এমনি কঠোর আন্দোলনের সুযোগ পুরুপুরি হারাতে হবে। একইসাথে ভবিষৎ বাংলাদেশ উচ্চ মেধাশক্তি হতে পিছিয়ে পড়বে। তৈরী হবে না সঠিক ও ন্যায় পরায়নের সহিত দেশ পরিচালনার মেরুদন্ড। সুতরাং ছাএছাএীদের ওদের সঠিক গন্তব্যে (কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে) পাঠানো হোক।

এখানে ছড়ার একটি পংতি এসে যায়, "পড়ার সময় পড়া আর খেলার সময় খেলা"। তাছাড়া আমাদের দেশ বরেণ্য কিছু ইনটেলেক্সচুয়াল ও মেধাবিদের মধ্যে গোলাম মাওলা রনী টকশোতে অত্যন্ত সহজ স্পস্টভাবে বুজাতে সক্ষম ছিলেন যে, ছাত্র আন্দোলনের মুল বিষয় ছিলো কোটা প্রথায় বড় ধরনের সংস্কার হলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিসিএসসহ ভালো গ্ৰেডের একটি চাকুরি নিশ্চিত করা। পক্ষান্তরে সেটা কি দাড়ালো, তড়িৎ সিদ্ধান্তের কারনে তাদের রাষ্ট্র কাঠামোতে উপদেষ্টা করা হলো। এ বিভাগগুলোতে যারা রাস্ট্রের সর্বচ্চো ব্যাক্তিবর্গদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, তারা বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন! এটার পরিবর্তে তাদের রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা যেতে পারতো। যাই হোক, সম্মানিত সিদ্ধান্তকারীরা ছাত্রদের বেশি ভালবেসেই এ ব্যবস্থাটুকু করে ফেলছেন।

সংবিধান সংশোধন হতে হবে, অনেক মেধা, শ্রম আর সময়ের ভিত্তিতে, তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন আর ১৫ বছরের ক্ষুধার্ত দলগুলোর চেল্লানোতে কিছু যায় আসে না। দীর্ঘ এই ১৫ বছরের তৈরী করা আবর্জনা সর্বোচ্চ মান উন্নয়ন করেই নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে, এর পূর্বে নির্বাচন নয়। যদি তাই হয়, তাহলে আমাদের ছাত্র জনতার রক্ত বৃথা হয়ে যাবে। 

টেকনোকেট মন্ত্রীত্ব অবশ্যই সংবিধানে সংশোধন করে সংখ্যার হার বাড়াতে হবে। কিছু বিশেষ মন্ত্রলালয়েয় জন্য এদের নিয়োগ দিয়ে পরবর্তী প্রজম্মের জন্য স্বচ্ছতা তৈরী করতে হবে।

আমার পছন্দের নামগুলো:
নোবেল ল'রেট অধ্যাপক ড: মুহম্মদ ইউনূস স্যার
আইনবিদ অধ্যাপক ড: আসিফ নজরুল স্যার
অর্থনিতীবিদ ড: সালেহ উদ্দিন স্যার
বিগ্রে: ড: এম সাখাওয়াত হোসেন স্যার
লে: ক: ড: শহীদ স্যার
গোলাম মাওলা রনী
ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থ
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
ডা: জাহিদুর রহমান
কনক সরওয়ার
পিনাকি ভট্টাচার্য,
আমি দু:খিত যে, আরো অনেকে আছেন টক শোতে যাদের কথা আমি শুনেছি, এরা সবাই তাদের স্ব স্ব দায়িত্বে স্বচ্ছতার স্বাক্ষর রাখতে পারেন।

এবার আমার অহংকার ও গর্ব নিয়ে এই অগুছালো মতামতটুকু সমাপ্তি করার আগে সম্মনিত পাঠকবৃন্দের নিকট লিখা ও মতামতের ভুল ক্রটিগুলোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। গর্ব আর অহংকার শুধু আমার একার নয়, তিন বাহিনীর সকল সদস্যের তিন বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমান) তিন প্রধানের প্রতি। দেশের এই আপদকালীন সময়ে যাদের সর্বচ্চো মেধা আর সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ ও জাতিকে পূন:স্বাধীনতা ফিরায়ে দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ইতিহাসে তা বিরল হয়ে থাকবে। সকল শহীদ, ছাত্র স্বমন্বয়ক, উপদেষ্টাগনের এবং তিন বাহিনীর প্রধানগনের অরগানোগ্ৰাম জাতীয় যাদুঘরে সংরক্ষিত করা অত্যাবশ্যক।

অহরহ জয়ের ঈঙ্গিত প্রফেসর ড: ইউনূস স্যারের প্রতি সর্বমহল থেকে তার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন দুবাই আমির স্যারকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ৫৭ জন বাংলাদশিকে তাদের বন্দি দশা থেকে মূক্ত করে দেন। 

ফ্যাসিস্ট সরকারের এক তরফা বেআইনি মনোভাব, জুলুম আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে মহামানবটি একটি বারের জন্যও প্রতিবাদের শব্দটি উচ্চারণ করেননি এমনকি যার মূখের হাসিটুকু কেড়ে নিতে পারেননি সেই কোমল মনের নিবেদিত প্রাণ আজ বাংলাদেশের অহংকার সারা বিশ্বের অলংকার দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে বাংলাদেশ ও জাতিকে অলংকৃত করার সর্ব্বোচ শ্রম আর মেধা দিয়ে সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়েছেন আমাদের মহামান্য প্রধান উপদেস্টা বরাবর, তিন বাহিনী প্রধানের মাধ্যমে অবসর প্রাপ্ত সকল সদস্যের আকুল আবেদন যে, দ্রব্য মূল্যের বর্তমান বাজার অনুপাতে আমাদের মাসিক রেশন ভাতা পুলিশ বাহিনীর রেশন ভাতার সাথে সমন্বয়পূর্বক বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা করা হলে আমরা নিম্ন মধ্যবৃত্তরা সামাজিকভাবে বেচেঁ থাকার সুযোগ পেতে পারি। দীর্ঘ ১৫টি বছর ফ্যাসিষ্ট সরকারের কাছে বার বার আবেদন, অনুনয়,  বিনয়, কাকুতি মিনতি করেও কোনো ফলাফলই মিলে নাই। আমাদের তিন বাহিনীর ভূমিকা যেটুকুই ছিল তার মধ্যে প্রধান অন্তরায় ছিলো, ফ্যাসিস্ট সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মে: জে: তারিক সিদ্দিকী যে তিনটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ধ্বংসের মূখে ঠেলে দিয়েছিলো।

এখানেই তিনি ক্ষান্ত হোননি, আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। আমাদের অবসরপ্রাপ্ত সকল সদস্যের পক্ষ হতে তার বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। কেননা আমাদের দায়িত্ব, সততা আর কঠোর প্রশিক্ষনকে তারিক সিদ্দিকী দেশ, বিদেশের কাছে ধুলিস্বাৎ করে দিয়েছিল। তিন বাহিনীর সদস্যের তূচ্ছ তাচ্ছিল্য অবহেলিত হতে হয়েছিলো। তাদের ইউনিফর্মের নূন্যতম মর্যাদা দেওয়া  হয়নি। তারিক সিদ্দিকীকে অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা উচিত।

আমরা স্বশশ্র বাহিনীর সকল সদস্যগন অন্তকরনে আশা করবো আমাদের তিন বাহিনীর প্রধান স্যারেরা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে মানবিক কারনে হলেও অবসরপ্রাপ্ত প্রতিজন ব্যাক্তির জন্য ৩০ বছর পূর্বে নির্ধারিত মাত্র ৪১৫/= টাকার স্থলে নূন্যতম ৩০০০/= টাকা করে আমাদের পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে কোন রকম সামাজিকভাবে বেচেঁ থাকার ব্যবস্থা করা হোক।

আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন।

নতুন বাংলাদেশ, সোনার বা্ংলাদেশ:
জিন্দাবাদ। বা়ংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত নৌবাহিনী সদস্য
এন্ট্রি ব্যাচ-৭৭, এক্স কনসালটেন্ট, হেলথ্ সেফটি এন্ড এনভায়রনমেন্ট; ইনচার্জ/ম্যানেজার।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//