Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Thursday, 19 Sep 2024 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয়েছে বিগত তিন জাতীয় সংসদের সব সদস্যকেও।

প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা হয়। মামলায় বাদী হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম নামের এক ব্যক্তি। বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার মর্যাদার একজন কর্মকর্তা দিয়ে এ মামলার তদন্ত করার কথা বলেছেন।’

মামলার আসামির তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. জাবেদ আলী, আবদুল মোবারক, মো. শাহনেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিসুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মামলার বাদী একরামুল করিম বলেন, ‘নির্বাচনগুলো প্রতারণামূলক ছিল। যাদের সংবিধান রক্ষা করার কথা ছিল, তারাই ভঙ্গ করেছেন। দেশবাসী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তারা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করেছেন। তাই মামলা হয়েছে।’

আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা সংবিধানে আছে। তারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি নির্বাচন করেছেন জনগণকে বাইরে রেখে। ফলে তারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, দেশের সংবিধান ও আইনকে লঙ্ঘন করে একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু অনির্বাচিত লোককে সংসদ সদস্য ঘোষণা করে। পরে তাদের মন্ত্রী ও স্পিকার ঘোষণা করা হয়। দেশের মানুষ ভোট দিতে না পেরে নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গণতন্ত্র। দেশে স্বৈরাচারী লুটেরা ব্যবস্থার আবির্ভাব হয়। দেশের সব সম্পদ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//