Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Tuesday, 24 Sep 2024 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

ড: মিহির কুমার রায়: মানুষের জীবন ধারণের পাঁচটি মৌলিক উপকরণের অন্যতম হলো খাদ্য। এ পৃথিবীতে যেসব রাষ্ট্র উন্নত ও কল্যাণমূলক হিসেবে খ্যাত সেসব রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য খাদ্যের নিশ্চয়তা দেয়া হয়। উন্নত ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে খাদ্যের নিরাপত্তা একটি মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে এ অধিকারটি ক্ষূন্ন হলে তা বলবতের জন্য এসব রাষ্ট্রে সংক্ষুব্ধ নাগরিককে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, খাদ্য নিরাপত্তা তখনই বিরাজমান, যখন সবার কর্মক্ষম, স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনমুখী জীবন যাপনের জন্য সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্যের লভ্যতা ও প্রাপ্তির ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। 

খাদ্য নিরাপত্তা নির্ধারণের তিনটি নিয়ামক হলো — খাদ্যের সহজলভ্যতা, খাদ্য প্রাপ্তির সক্ষমতা এবং খাদ্যের পুষ্টিমান ও নিরাপত্তা। দেশে উৎপাদিত খাদ্যপণ্য দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হলে বাইরে থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করে তা সহজলভ্য করে তোলা সরকারের দায়িত্ব। আমাদের বাংলাদেশে খাদ্যের নিরাপত্তা মৌলিক অধিকার না হলেও রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃত। আর এ কারণে আমাদের দেশে যে কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে এ অধিকারটি ক্ষুন্য হলে তার পক্ষে তা বলবৎ করার জন্য আদালতের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ নেই। আমাদের নীতি নির্ধারক ও আইন প্রণেতারা জনস্বাস্থ্য ও জনসাধারণের নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিষয়ে সচেষ্ট। এ দায়িত্ববোধ থেকেই মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণীত হয়। এ আইনটি ১৯৫৯ সালে প্রণীত বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ এর উত্তরসূরি। এ আইনটি প্রণয়নের সাথে সাথে আগেকার আইনটি বাতিল হওয়ার কারণে এটি ওই আইনের স্থলাভিষিক্ত হয়। 

বিশ্বে খাদ্যশস্যের উৎপাদন হ্রাস ও দারিদ্র্য জনগনের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে অনেক খবর বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হতে দেখা যায়। ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিলের (আইজিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে উৎপাদন কমে ২২৫ কোটি ৬০ লাখ টনে নামতে পারে। এদিকে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমার প্রভাবে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি ব্যয় চলতি বছর রেকর্ড সর্বোচ্চে উন্নীত হতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংন্থা (এফএও) এবং তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ৯৮ ট্রিলিয়ন ডলারে। আর বিজনেস রেকর্ড বলছে, এশিয়ায় ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে চালের রফতানি বাজার দর। শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোর সবকটিতেই বাড়তি দামে চাল রফতানি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কায় দাম বাড়ছে। আগামী দিনগুলোয় এ অঞ্চলে চাল উৎপাদন বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 
বিশ্বে চাল রফতানিতে শীর্ষে অবস্থানকারী দেশ ভারতের সরকার রফতানিযোগ্য চালের মজুদ বাড়াতে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনছে। এর প্রভাবে রফতানিযোগ্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সম্প্রতি একটি খবরে জানা যায় ভারত তার দেশের চাল রফতানি বন্ধ করেছে এক আদেশ বলে। এতে বাংলাদেশের উপর কি প্রভাব পড়বে তা চিন্তার বিষয়। কারন বাংলাদেশ তার চাল ও গম আমদানির বেশিরভাগ প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে করে থাকে। 

আবার খাদ্যের মোটামুটি ১১টি উপাদান থাকলেও দেশে খাদ্য বলতে মূলত চাল থেকে তৈরি ভাতকে বোঝায়। অর্থাৎ দেশবাসীর প্রধান খাদ্য ভাত। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০১৬ অনুযায়ী, মোট ক্যালরির (১০০ শতাংশ) ৬৪ দশমিক ৩২ শতাংশ আসে খাদ্যশস্য থেকে, যার ৫৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ আসে ভাত থেকে। কিন্তু দেশে জনসংখ্যা বাড়ার তুলনায় চালের উৎপাদনশীলতা প্রবৃদ্ধি হার কম। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৭-১৮ অর্থবছর বাদ দিলে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হার নেতিবাচক থেকে ১ দশমিক ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অথচ এ সময়কালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।  
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ‘৫০ ইয়ার্স অব রাইস ব্রিডিং ইন বাংলাদেশ: জেনেটিক ইল্ড ট্রেন্ডস’ এবং ‘রাইস ভিশন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুটি গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী চালের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বার্ষিক হার যখন দশমিক ৮২ শতাংশ, তখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে উৎপাদিত চালে দেশের চাহিদা মিটছে না। বছরের পর বছর ধরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। বিগত অর্থবছরে সরকারি-বেসরকারি খাতে ১৯ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, দেশে ডলার সংকট ইত্যাদি কারণে পণ্যটির আমদানিতে গতি আসেনি। চাল উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্তানে থাকা আমন ফসলের আবাদ অনেকটা প্রকৃতি নির্ভর। আমন আবাদ খরা, বন্যা, জলোচ্ছাস এর মত ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। 

স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে গমের আটার রুটি খাওয়া বৃদ্ধি পাওয়া, কেক, বিস্কুট বিদেশে রফতানি হওয়া প্রভৃতি কারণে খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চললেও এর উৎপাদন নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকের তুলনায় অনেক কম। সরকারি তথ্য মোতাবেক, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছিল ১৯ লাখ ৮ হাজার টন। এরপর থেকে গমের উৎপাদন কমতে থাকে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে পণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৮৬ হাজার টন। গমের এ উৎপাদন দেশের চাহিদার ছয় ভাগের এক ভাগ। তার মানে গমের ক্ষেত্রে দেশ প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে গমের দাম আকাশ ছোঁয়া। ২০২০ সালের ৩২ টাকার এক কেজি খোলা আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আটার দাম মোটা চালের দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় আটা খাওয়া মানুষ এখন চালের দিকে ঝুঁকছে। এতে চালের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রনালয়ের সূত্র মতে ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২৫ শতাংশ কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসাবে খাদ্য আমদানি খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৮ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৪ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বরাদ্দ কমছে ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা বা ৩০ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি। 

এ অবস্থায় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ জোর দিয়েছে  সরকার। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন এর জন্য যা যা সহায়তা করার দরকার সরকার করে যাবে সাধ্যমতো। এরি মধ্যে সরকার কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। সারা বছর ফসল ফলাবেন কৃষকরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ ‘কন্টেনার স্ক্যানার সিস্টেম’ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৩২৭ কোটি টাকা। কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে আরও ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনা হচ্ছে। এতে মোট খরচ হবে ৯৭৭ কোটি টাকা। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোর করতে কৃষকদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহ রাখার বিষয়টি অন্যতম যা অব্যাহত রাখা হবে। এরই মধ্যে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ১ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট পাঁচ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সার এবং স্ক্যানার সিস্টেম কেনায় সিংহভাগ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৫টি প্রকল্পের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ১টি প্রস্তাব রয়েছে যার প্রাক্কলিত মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩০৪  কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৩ টাকা যার মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৩২ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৯৭৭ কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা। ব্যাপক সমালোচনার মুখে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমাতে কয়েক দফায় দাম বাড়ানো হলেও কৃষিতে ভর্তুকি কমানো হয়নি। বরং ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের সার সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি মূল্যে কিনে দেশে সার বিক্রি করা হচ্ছে যাতে করে কৃষকরা কৃষি উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণ প্রদানের শর্ত হিসেবে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও নগদ সহায়তা কমানোর সুপারিশ করলেও কৃষি উৎপাদনে ভর্তুকি প্রদানের বিষয়টি সমর্থন করেছে। আশা করা হচ্ছে, কৃষি উৎপাদন বাড়লে দেশে খাদ্যপণ্য সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, ডলার সংকটের এই সময়ে বিদেশ থেকে সার কেনা অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে অর্থবছরে শুধু সারে ভর্তুকি প্রয়োজন হতে পারে ৪৫-৪৮ হাজার কোটি টাকা। তথ্যমতে কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং দেশীয় কোম্পানি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টন সার ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৯৭৭  কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮ টাকা যার মধ্যে ৫৬২ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৮ টাকার ইউরিয়া সার রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (কেসিসি) থেকে অষ্টম লটে ৫০ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে যাতে ব্যয় হবে ৪১৪ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)  রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির মাধ্যমে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে নবম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যাতে ব্যয় হবে ১৮৫ কোটি ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৭০০ টাকা। একই সাথে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে এগারো তম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যাতে ব্যয় হবে ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার ৬৪৪ টাকা। 

পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে সেবার মান বাড়াতে দেশের বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ ‘কন্টেনার স্ক্যানার সিস্টেম’ কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন কাস্টম হাউস ও দপ্তরের জন্য ছয়টি পূর্ণাঙ্গ কন্টেনার স্ক্যানার সিস্টেম আমদানি করা হবে। নিউ টেক কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ৩২৭ কোটি ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৫ টাকায় এই সিস্টেম কেনা হবে। সরকারের এই মহতি প্রচেষ্টা্ বাস্তবায়িত হলে বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি আসন পৃথিবীতে করে নিতে পারবে।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, উন্নয়ন গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//