ডেস্ক রিপোর্ট: সেনাবাহিনীর পর এবার বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদেরও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা এ ক্ষমতা পাবেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, বিমান ও নৌবাহিনীকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেষণ-২ শাখা) জেতি প্রুর সই করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমমর্যাদার) কর্মকর্তাদের মতো বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদেরও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮-এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা এ ক্ষমতা পাবেন। ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে তারা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন সরকার। এরপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তিনদিনের মাথায় ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
যেকোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন, তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে দুই বছরের বেশি নয়।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//