নিজস্ব প্রতিবেদক: অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কারের পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করেছে সরকার। কমিশনে লেখক ও আইন পেশার আরো আটজনকে সদস্য করা হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পরে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়।
কমিশনের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ ও মো. মাহফুজ আলম। এর মধ্যে মাহফুজ আলমকে রাখা হয়েছে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে।
কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন-সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে শর্ত থাকে, কমিশন-প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে সংবিধান সংস্কার কমিশন নামে কমিশন গঠন করল। কমিশন ৬ অক্টোবর ২০২৪ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি কমিশন গঠন এবং এতে প্রধান কারা থাকবেন তা জানিয়েছিলেন। ওইদিন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিকের। তবে ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আলী রীয়াজকে নিয়োগ দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//