নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ ছাড়া আমরা কোনো বিদেশী বিনিয়োগ নিচ্ছি না। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশী অপারেটরের (সৌদি আরবের আরএসজিটিআই) হাতে দেয়া হলেও বন্দর আয় করছে। কনটেইনার প্রতি ১৮ ডলার আয় হচ্ছে। এটা বন্দরের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এখন কারো না কারো স্বার্থে এসব বিদেশী বিনিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ করলে দেশের বাইরের বিনিয়োগকারীরা আসবে না।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল চত্বরে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, বন্দর পর্ষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন করে নিউমুরিং টার্মিনালে বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, যে সিদ্ধান্ত নেয়া হোক খুব স্বচ্ছ হবে। আপনারা অপেক্ষা করেন। বন্দরের জন্য ভালো হলে এবং বন্দরের আয় বেশি হলে আমরা বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তা করব। টার্মিনালের কর্মীদের সমস্যা যাতে না হয় সেটিও দেখা হবে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে আমাদের লোকজনই কাজ করছে।
পতেঙ্গা টার্মিনালের অপারেশন সৌদি আরবের রেড সী গেইটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনালকে (আরএসজিটিআই) দেয়া নিয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, এ টার্মিনালে আড়াই হাজার কোটি টাকা বন্দর বিনিয়োগ করেনি। বিনিয়োগ করেছে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ বিনিয়োগ করে টার্মিনাল থেকে বন্দরের ২২ বছরে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয় হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত দিনে বন্দরে অনেক অনিয়ম হয়েছে। নানা জনের নামে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সবই আমাদের নজরে আছে। অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে এখন থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম মেথডে) কোনো দরপত্র আহ্বান করা হবে না। সব কাজই হবে উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে। এ জন্য দরপত্রের শর্তগুলো আমরা পর্যালোচনা করব, যাতে নির্দিষ্ট কারও কাছে যাতে না যায়। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি হবে শুধু সরকার টু সরকারি পর্যায়ে। সেটাও পর্যালোচনা করে নেয়া হবে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//