ডেস্ক রিপোর্ট: এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানের মানবাধিকার সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও। সংগঠনটি স্থানীয়ভাবে হিবাকুশা নামে পরিচিত। এটি মূলত হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়াদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংস্থা। দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটি পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ এবং মানবাধিকারের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে নিহন হিদাঙ্কিওর নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টা এবং পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার যে মানবতাবিরোধী কাজ তা তুলে ধরার জন্য নিহন হিদাঙ্কিওকে সম্মানজনক এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
সংস্থাটি বহু বছর ধরে পরমাণু বোমার ধ্বংসাত্মক পরিণতি এবং এর ভয়াবহতা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে কাজ করছে। তাদের এ প্রচেষ্টা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বিশ্বে আর কখনোই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হতে দেয়া উচিত নয়।
এ বছরের নোবেলজয়ীরা পাচ্ছেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদ এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, এই অর্থ তাদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবসে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি। ইরানে পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
তার আগে ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পান বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//