নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় মানোন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ণের তাগিদ দিয়ে শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, জাতীয় মানোন্নয়ন নীতিমালা করা প্রয়োজন। এ নীতিমালায় দেশের অঞ্চলভিত্তিক এবং চাহিদাভিত্তিক মান প্রণয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মান দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে Shared vision for a better world অর্থাৎ ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বির্নিমাণে-মান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম।
বিশ্ব মান দিবসের আলাচনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীগণ, আমদানি ও রপ্তানিকারকসহ মান প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, কিভাবে দ্রুত মানোন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় সে লক্ষে বিএসটিআইকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি পণ্য যেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত হয় আমাদেরকে সেভাবে কাজ করতে হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসমূহের সাথে সংগতি রেখে মান প্রণয়নের পাশাপাশি দেশীয় এবং দেশের অভ্যন্তরে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পকে প্রধান্য দিয়ে মান প্রণয়ন করতে হবে। ইজিবাইকের মান প্রণয়ন করা গেলে এবং মানের আওতায় আনা গেলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে। এ ধরনের বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিতে হবে।
এফবিসিসিআই’র প্রশাসক বলেন, বিএসটিআই বিভিন্ন দেশের মান প্রতিষ্ঠান বা সমধর্মী প্রতিষ্ঠানের সাথে যেসব সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করেছে সেগুলোকে মিউচুয়াল রিকগনিশন এগ্রিমেন্টে রুপান্তর করতে পারলে এ থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া সম্ভব হবে।
মূল প্রবন্ধে ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরি বলেন, আমাদের একটি জাতীয় মানোন্নয়নের রূপরেখা করা দরকার। এরমধ্যে থাকবে অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন, জাতীয় চাহিদাকেন্দ্রিক মান, বাজার নিয়ন্ত্রণ, বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ ঠিক রাখা, সামাজিক বিষয়সমূহ, হাওড়ের রাস্তা থেকে ভবন নির্মাণ সবকিছুই জাতীয় মানোন্নয়ন নীতিমালায় থাকতে পারে।
বিএসটিআই’র উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআই’র মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সম্বলিত লাইসেন্স প্রদান, পণ্যের হালাল সনদ প্রদান, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাইপূর্বক সনদ প্রদান শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে বিএসটিআই’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় চালু, নতুন জনবল সৃজন, পণ্য পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিকমানের নতুন নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং বিদ্যমান ল্যবরেটরিসমূহে নতুন নতুন পণ্য পরীক্ষণ প্যারামিটার সংযুক্তিকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//