নিজস্ব প্রতিবেদক: সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে দুই কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। দুই কার্গো এলএনজি আমদানিতে বাংলাদেশী মুদ্রায় ব্যয় ধরা হয়েছে কর, ভ্যাটসহ ১ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে গতকাল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এ বিষয়ক আলাদা দুটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বর্তমানে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে অনলাইনে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি।
বৈঠক শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়, এক কার্গোতে থাকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) এলএনজি। টোটাল এনার্জিস থেকে এক কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়ছে ১৩ দশমিক ৯৪ ডলার। আরেক কার্গোয় প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৫৭ ডলার। সরকারি ক্রয় বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক দর প্রক্রিয়া অনুযায়ী স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এলএনজি আমদানির সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমএসপিএ চুক্তি চূড়ান্ত করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার গত ৪ সেপ্টেম্বর সেগুলো আবার নতুন করে অনুমোদন দেয়। চলতি মাসে পাঁচ কার্গো, নভেম্বরে পাঁচ কার্গো ও ডিসেম্বরে চার কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আগ্রহী বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের তালিকা চেয়ে সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে। মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়ার পর ১৭টির সঙ্গে প্রথম দফায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) অনুস্বাক্ষর করা হয়। আইনি পরীক্ষা-নিরীক্ষার (ভেটিং) পর তৎকালীন অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পেট্রোবাংলার সঙ্গে এমএসপিএ স্বাক্ষর করার অনুমোদন দেয় ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩-এ উন্নীত হয়।
ক্রয় কমিটি এছাড়া ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায় ৩০ টন এমওপি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে গতকাল। প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ২৮৯ দশমিক ৭৫ ডলার। কাজ পেয়েছে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন। কোম্পানিটির সঙ্গে আগে থেকে চুক্তি আছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি)।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//