নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মোঃ মাকসুদুর রহমান। এর আগে তাঁরা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং, নোয়াখালী জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিংয়ে এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মোঃ রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং-এর প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সিনিয়র অফিসার হিসাবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, ইংল্যান্ড, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত এবং মালয়েশিয়া সফর করেন।
মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট উইং-এর প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট উইং, রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইং, ঢাকা নর্থ জোন ও সিলেট জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স এবং পরবর্তীতে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট-এ এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, নেপাল, ভূটান, জর্ডান ও ভারত সফর করেন।
কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ফরেন ট্রেড অপারেশন্স ডিভিশনের প্রধান, নওয়াবপুর রোড ও পল্টন শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং এন্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২০০৬ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তান সফর করেন।
ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং অপারেশন্স উইং-এর প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন এন্ড মার্কেটিং ডিভিশন, হেড অফিস কমপ্লেক্স কর্পোরেট শাখা, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ২০০৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক, চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মোঃ মাকসুদুর রহমান ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স উইং এর প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইং, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, ফরেন রেমিট্যান্স ডিভিশন-এর প্রধান, যশোর ও খুলনা জোনপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস (অনার্স) এবং এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, উজবেকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভারত সফর করেন।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//