নিজস্ব প্রতিবেদক: পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক এবং রেগুলেটরি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোট করভার ১০ শতাংশ হতে হ্রাস করে শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত সোমবার একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। ফলে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে কোন প্রকার শুল্ক-কর আরোপযোগ্য রইলো না। এতে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাজারে ২ সপ্তাহ আগে ১২০ টাকায় এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও সেটা এখন এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা। রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা কাঁচাবাজারে আরো বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
অতিবৃষ্টিতে চাষাবাদ বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে আগাম পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বলে অজুহাত ব্যবসায়ীদের।
অন্যদিকে, ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
আমদানির পেঁয়াজের বেলায় আমদানিকারকদের দাবি, ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে তাদের। সেইসঙ্গে ডলারের দাম বাড়াও দামে প্রভাব ফেলছে। পিঁয়াজের দাম কমিয়ে সধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ শুল্ক ও করাদি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন। এ চাহিদার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশই পূরণ হয় স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে। বাকি চাহিদা আমদানি করে পূরণ করা হয়।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//