ডেস্ক রিপোর্ট: সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতকে ঘিরে সৃষ্ট নানা অনিয়মের তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছিল সাধারণ মানুষ। এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অনেকটাই কেটে গেছে। ফলে হাতে রাখা টাকা আবারও ব্যাংকে জমা করছে মানুষ। চলতি বছরের আগস্ট শেষে মানুষের হাতে টাকার পরিমাণ ছিল ২.৯২ লাখ কোটি টাকা।
সেপ্টেম্বরে তা কমে ২.৮৩ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ গত সেপ্টেম্বরে মানুষের হাতে থাকা প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক খাতে ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ব্যাংকগুলোতে আমানত প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.২৬ শতাংশ বা ৯,৭৪৮ কোটি টাকা বেড়েছে।
এতে ব্যাংকে রাখা আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭.৪১ লাখ কোটি টাকায়। আগস্টে মোট আমানত ১৭.৩১ লাখ কোটি টাকায় নামলেও আগের মাসের তুলনায় নেতিবাচক (ঋণাত্মক) প্রবৃদ্ধি ছিল ০.১৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে সাধারণত প্রতি মাসে আগের মাসের তুলনায় আমানত বাড়ে। তবে জুলাই ও আগস্টে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে।
চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে আমানত ছিল ১৭.৪২ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আমানত কমেছে। ব্যাংকাররা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে মানুষের মধ্যে আমানত তুলে নেওয়ার প্রবণতা কমেছে।
বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন ভালো ব্যাংকগুলোতে ডিপোজিট অনেক বেড়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে গ্রাহকদের আস্থা কিছুটা ফিরেছে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//