ডেস্ক রিপোর্ট: আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করতে চায় এবং উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তিনি আগ্রহী।
বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাতকালে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ এ মন্তব্য করেন।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততার পরিসর অন্বেষণের লক্ষ্যে আগামী বছরের প্রথম দিকে আজারবাইজান সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং উভয় দেশ বাণিজ্য, ব্যবসা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। তাই ঢাকায় একটি আবাসিক দূতাবাস খোলার সম্ভাবনা যাচাই করছে আজারবাইজান।
প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের প্রশংসা করে বলেন যে, তিনি কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, আজারবাইজানে একটি যুব কর্মসংস্থান কর্মসূচি চলছে, যা প্রফেসর ইউনুসের ধারণা দ্বারা অনুপ্রাণিত।
তিনি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতি এবং সমৃদ্ধি লাভ করবে। প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ বলেন, আপনার কাজ খুবই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমি জানি আপনি সেই ব্যক্তি, যিনি এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারবেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুসও দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং প্রধান আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হলে উভয় দেশই সমৃদ্ধ হতে পারে।
প্রফেসর ইউনুস আরো বলেন, মধ্য এশিয়ার তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোতে আরো বাংলাদেশীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকা উচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে শত শত বাংলাদেশী কর্মসংস্থান পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ বলেন, আজারবাইজান তার সেবা খাতের ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ডিজিটালাইজেশনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফি সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব এবং প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং তুরস্ক ও আজারবাইজানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আমানুল হকও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//