ডেস্ক রিপোর্ট: ১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে ২১ নভেম্বর পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এটি দেশবাসীসহ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বেশ আলোচনা সৃষ্টি করে। যুক্তিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার বিলটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফলে আইনটির মাধ্যমে বড় সামাজিক মাধ্যমগুলোকে কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হবে। খবর রয়টার্স।
নতুন আইনে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা ও টিকটকের মতো প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৬ বছরের কম বয়সীদের নিজেদের প্লাটফর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। ব্যর্থ হলে কোম্পানিকে ৪ কোটি ৯৫ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৩ কোটি ২০ লাখ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। আইনটি কীভাবে প্রয়োগ করা যায় তা নির্ধারণ করতে জানুয়ারিতে একটি যাচাই প্রক্রিয়া এবং এক বছর পর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হবে।
বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে আইনের মাধ্যমে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার কমানোর অঙ্গীকার করেছে। তাদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার নতুন এ আইন পরীক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফ্রান্স ১৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছিল। তবে ব্যবহারকারীরা অভিভাবকদের সম্মতিতে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে ১৩ বছরের কম বয়সীদের জন্য মা-বাবার সম্মতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা দিয়ে আসছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার নীতিটি সবচেয়ে কঠোর।
প্রাইভেসি অ্যাডভোকেট ও কিছু শিশু অধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে যে ৭৭ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান এটি সমর্থন করেছেন। ২০২৪ সালজুড়ে একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি মা-বাবা ও অভিভাবকদের কাছ থেকে যাদের সন্তানরা সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎপীড়নের কারণে নিজের ক্ষতি করেছে, তাদের কথা শুনেছে। এর মধ্য দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম সংবাদপত্র গ্রুপ রুপার্ট মারডকের নিউজ করপোরেশনসহ স্থানীয় মিডিয়াগুলোর দৃঢ় সমর্থন অর্জন করে বিলটি। তারা এ নিষেধাজ্ঞার সমর্থনে ‘লেট দেম বি কিডস’ (ওদের শিশু থাকতে দিন) নামে একটি প্রচারণাও চালিয়েছে।
মেটার এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা অস্ট্রেলিয়ার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আইনটি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//