দডেস্ক রিপোর্ট: ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার পণ্যে ছাড় চলছে। ফলে ওয়েবসাইটগুলোয় ক্রেতাসমাগম বেড়েছে কয়েক গুণ। আর ক্রেতা বাড়ায় বিক্রেতারা আশা করছেন, আগামী কয়েক দিন তাদের কেনাবেচা চলবে বড় উৎসবের মতোই।
পুরো অক্টোবর ও নভেম্বরের শুরুটা যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতাদের ভালো যায়নি। এর মধ্যে ব্ল্যাক ফ্রাইডে ঘিরে কিছুটা চাঙা হয়ে ওঠে বাজার।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনওয়াইড বিল্ডিং সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডের রাত ১টা পর্যন্ত লেনদেনের সংখ্যা ছিল গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের তুলনায় বেশি ছিল ২২ শতাংশ। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
ন্যাশনওয়াইড বিল্ডিং সোসাইটির পেমেন্ট স্ট্র্যাটেজি বিভাগের পরিচালক মার্ক ন্যাল্ডার বলেন, ‘এ বছরের ব্ল্যাক ফ্রাইডে আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মনে হচ্ছে। আশা করছি এটি হবে আমাদের গ্রাহকদের জন্য কেনাকাটার জন্য ব্যস্ততম একটা দিন।’
ওয়েবসাইটে বিক্রি বাড়লেও সশরীরে দোকানে গিয়ে কেনাকাটার ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বাজার গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান এমআরআই সফটওয়্যারের হিসাব বলছে, এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডের রাত ১টা পর্যন্ত সশরীরে দোকানে গিয়ে কেনাকাটার হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ কম ছিল। সবচেয়ে বেশি বিক্রি কমেছে হাই স্ট্রিটে অবস্থিত দোকানগুলোয়; ২ দশমিক ৫ শতাংশ। অবশ্য বিপণিবিতান ও সিটি সেন্টারের বাইরে অবস্থিত খুচরা বাজারগুলোয় ক্রেতাদের আনাগোনা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি ছিল। গত বছরের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে সেন্ট্রাল লন্ডনে।
এমআরআইয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জেনি ম্যাথিউস বলেন, ‘হাই স্ট্রিটের দোকানগুলোয়, বিশেষ করে মানুষজন অফিস শেষে যেখানে কেনাকাটা করেন, সেখানে বেচাবিক্রি কয়েক দিনের মধ্যে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ (শুক্রবার) অনেকেই বেতন পাবেন। আর বড়দিনের আগে সম্ভবত এটাই সর্বশেষ বেতন। সে হিসাবে অনেকেই কেনাকাটা করবেন, যা খুচরা বিক্রেতাদের জন্য একটা সুখবর।’
ন্যাশনওয়াইড আভাস দিয়েছে, ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে কেনাকাটার পেছনে ভোক্তারা প্রায় ৩৩ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড খরচ করবেন। তবে মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক শ্রমিক তাদের বড়দিনের খরচের লাগাম টানতে চাইবেন।
যুক্তরাজ্যের অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার শীর্ষস্থানীয় সমিতি আইএমআরজির সদস্য অ্যান্ডি মূলকাহাই বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে ডিজিটাল কেনাবেচা শুরু হয় নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে। এবার সপ্তাহের প্রথম দিন (সোমবার) লেনদেনের পরিমাণ ছিল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ কম। কিন্তু বুধবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।’
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//