ডেস্ক রিপোর্ট: বাজারে অস্থিরতা কমাতে চলতি বছরের বাকি সময়ে দেশীয় উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কেনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে রুশ মুদ্রা রুবলের বিনিময় হার উল্লেখযোগ্য হারে রেকর্ড নিম্নের কাছাকাছি চলে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খবর আরটি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, জাতীয় পরিসম্পদ তহবিল (ন্যাশনাল ওয়েলথ ফান্ড) পূর্ণ করতে তারা বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি চালিয়ে যাবে। এ ধরনের লেনদেনের দৈনিক পরিমাণ বর্তমানে ৮৪০ কোটি রুবল বা ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাজারে পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে বৈদেশিক মুদ্রা কেনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বছর স্থগিত থাকা ডলার কেনাকাটা আগামী বছর সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়।
এর আগে গত বছরও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
রুবলের পতন ঠেকাতে গত বছরের ১০ আগস্ট থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত ডলার কেনা স্থগিত ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সম্প্রতি রুবলের বিনিময় হার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংক গ্যাজপ্রমব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাংকটি জ্বালানি রফতানির জন্য অর্থ প্রদানের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রসব্যাংকের বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেন আরো জটিল করতে পারে এবং রাশিয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য আনার প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে।”রুবলের বিনিময় হার কমার বর্তমান প্রবণতা আগামী বছর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে মনে করেছেন তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক বিবৃতির আগে বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও মুদ্রা বিনিময়ের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের অনীহার কারণে আগামী বছর রুবল ডলারের বিপরীতে ১১৯ দশমিক ৮ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রুবলের নিম্নমুখী বিনিময় হার রুশ সরকারকে বাজেট শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। জ্বালানি রফতানি থেকে আয় প্রধানত ডলার ও ইউরোতে আসে, যা দেশীয় মুদ্রায় রূপান্তর করলে লাভ বেশি হচ্ছে।
রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানোভ মঙ্গলবার বলেন, ‘দুর্বল রুবল রফতানিকারকদেরও উপকৃত করছে, যা উচ্চ সুদহারের কারণে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পুষিয়ে দিচ্ছে।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//