নিজস্ব প্রতিবেদক: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওবায়োলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর মেরি স্কলোডোভস্কা-কুরি ফেলোশিপ লাভ করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ফার্মেসির গ্র্যাজুয়েট ফাতেমা স্বর্ণা। তিনি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে আইএইএ মেরি স্কলোডোভস্কা-কুরি ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভিার্সিটিতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম শুরু করেন।
রেডিওবায়োলজিতে মাস্টার অফ সায়েন্স একটি এক বছরের কোর্স। রেডিওবায়োলজি বা রেডিয়েশন অনকোলজিতে গবেষণায় আগ্রহী কিংবা এই বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান প্রয়োজন এমন পেশাজীবীদের জন্যই এই কোর্সটি ডিজাইন করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড বিশ্বের প্রাচীনতম ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে একটি সমৃদ্ধ অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক। যেখানে রয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া সম্পন্ন করা আড়াই লাখের বেশি সাবেক শিক্ষার্থী। এই নেটওয়ার্কে রয়েছেন ১২০ জনের বেশি অলিম্পিক পদক জয়ী, ২৬ জন নোবেল বিজয়ী এবং ৩০ জনেরও বেশি বৈশ্বিক নেতা।
মেরি স্কলোডোভস্কা-কুরি ফেলোশিপটি মূলত পারমাণবিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী-পুরুষের সমান ভূমিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রদান করা হয়ে থাকে। এই ফেলোশিপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারমাণবিক সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে লেখাপড়া এবং আন্তর্জাতিক পারমানবিক শক্তি সংস্থার সহায়তায় ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ লাভ করেন।
এই ফেলোশিপ শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি এবং থাকা খাওয়ার সুবিধা নিশ্চিত করে থাকে। ফেলোশিপটি অফার করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী কি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, ভৌগলিক অবস্থান, ভাষাগত বৈচিত্র্যসহ অন্যান্য অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।
মেরি স্কলোডোভস্কা-কুরি ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের অনেকগুলো অনন্য অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দেয়। স্বর্ণা ২০২৪ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই ফেলোশিপ প্রাপ্তি বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ফাতেমা স্বর্ণা। তিনি বলেন, এই ফেলোশিপ অর্জনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া মজবুত অ্যাকাডেমিক ভিত্তি কাজে লেগেছে। তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতি তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।" তিনি আরো বলেন যে, এই ফেলোশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে।
ফাতেমা স্বর্ণার এই সাফল্য নারী ক্ষমতায়ন, উৎকর্ষ সাধন এবং বৈশ্বিক নেতৃত্ব তৈরির প্রতি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অঙ্গীকারের প্রতিফলন। সেই সাথে তিনি অন্য শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুপ্রেরণার।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//