নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক চাইছেন গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি বহাল থাকুক।
তবে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে একক পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। একই পথ অনুসরণ করতে চায় আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে দেখা গেছে অনিশ্চয়তা।
এ অবস্থায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন। সেখানে গুচ্ছের পক্ষেই আছে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকতে অনড়। বাকি ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটি গুচ্ছে ফিরতে চায় না। আর সরকার কঠোর হলে অন্য চারটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে ফিরতে চায়।
সার্বিক পরিস্থিতিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে চান। পাশাপাশি গুচ্ছের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সভায় এমন নির্দেশনার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্যরা। রাত ৯টায় ভার্চুয়ালি শুরু হওয়া এ সভা শেষ হয় সাড়ে ১১টারও পর।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, সভায় গুচ্ছভুক্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়াতে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা চেয়েছে। গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়া চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর নির্দেশনা পেলে গুচ্ছে ফিরে আসার কথাও জানিয়েছে।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, সভায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে মাইগ্রেশন চালু এবং আগামী শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
গুচ্ছ থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, আমরা গুচ্ছে থাকতে চাই। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাওয়া এটাই। খুব দ্রুত আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করবো। সম্ভব হলে আজ (রোববার) সভা করতে চাই। এজন্য আমরা যোগাযোগ করছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভার পর উপাচার্যরা বসে গুচ্ছের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
সভায় অংশ নেওয়া একজন উপাচার্য জানান, জগন্নাথ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গুচ্ছে ফিরে আসা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তারা। তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা পেলে গুচ্ছে থাকার ব্যাপারে ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গুচ্ছভুক্ত বাকি ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যায় এগিয়ে থাকা আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনার পর সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে মতামত দিয়েছেন। বাকি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ই গুচ্ছে থাকার পক্ষে রয়েছেন।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//